গ্রামীণ সড়ক সম্প্রসারণে ১০ কোটি ডলার অনুমোদন এডিবি’র

272

ঢাকা, ১৫ জুন, ২০২০ (বাসস) : এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে চলমান গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন সম্প্রসারণ প্রকল্পে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্পটি কৃষি উন্নয়ন এলাকাগুলোর সঙ্গে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সংযোগ ঘটাবে।
এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অতিরিক্ত অর্থ রুরাল কানেকটিভিটি ইপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় চলমান সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি’র এই অর্থায়নের ফলে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার থেকে ২ হাজার ৬৩০ কিলোমিটারে উন্নীত হবে।
জলবায়ু সহনশীরতা ও নিরাপত্তাসহ আবহাওয়া-সংশ্লিষ্ট সকল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ৩৪টি জেলার গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ২শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ প্যাকেজটির অর্থায়ন অনুমোদন দেয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে আরো বলা হয়, সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটির এই বর্ধিত ভৌগলিক অঞ্চলসমূহের অন্তর্ভুক্তির ফলে সুফলভোগীও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সুফলভোগীর সংখ্যাও বাড়বে। প্রকল্প এলাকার ৪ কোটি ২ লাখ বাসিন্দা এ থেকে উপকৃত হবে।
এডিবি’র জ্যেষ্ঠ পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ অলিভার দ্রিউ বলেন, ‘এই সড়ক উন্নয়নের ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী আরো দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের কাছে আসতে পারবে। এর ফলে কৃষি জমি থেকে বাজার র্পন্ত পণ্য ও সেবা পৌঁছানোর গতি বাড়বে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই উন্নয়নের ফলে যে কোন প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতেই নারী ও শিশুরা সহজে ও নিরাপদে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামাজিক সেবা পাবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ্আরো বলা হয়, অপর্যাপ্ত পরিবহন ও দুর্বল বাজার অবকাঠামো বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়নের একটি প্রধান প্রতিবন্ধক।
এই অতিরিক্ত অর্থায়ন করোনা ভাইরাসের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় অর্থনীতিতে শক্তি সঞ্চারে সরকারের অবকাঠামো ব্যয়ে সম্পূরক ভূমিকাও পালন করবে।
অবকাঠামোগত খাতে এই ব্যয় স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ সরবরাহ আরো সহজলোভ্য করবে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি অথনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ভিত্তি রচনা করবে।
এই গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্প সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকে সহায়তা করছে।
২০২৪ সাল নাগাদ সমাপ্য এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৯.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার ১৪৯.২৩ মার্কিন ডলার ব্যয়বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।