বাসস ক্রীড়া-৮ : করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানসিকভাবে প্রস্তুত খেলোয়াড়রা : মিসবাহ

108

বাসস ক্রীড়া-৮
ক্রিকেট-মিসবাহ
করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানসিকভাবে প্রস্তুত খেলোয়াড়রা : মিসবাহ
করাচি, ১৩ জুন ২০২০ (বাসস) : টেস্ট ও টি-২০ সিরিজ খেলতে আগামী মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ড যাবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। করোনাভাইরাসের কারনে এবারের ইংল্যান্ড সফরটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে করোনার সাথেও লড়াই করতে হবে পাকিস্তানকে। তবে ইংল্যান্ড সফরের জন্য তার দল পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান কোচ মিসবাহ উল হক।
মিসবাহ বলেন, সফরে কন্ডিশন এবং সুরক্ষা প্রোটোকলের সাথে মানিয়ে নেওয়া কঠিনই হবে, তবে এসব চ্যালেঞ্জ গ্রহনের জন্য খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে শক্ত আছে।
করোনাাভাইরাসের কারনে সফরকারী পাকিস্তানকে বায়ো-সুরক্ষাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিবে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে মিসবাহ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারনে এই সফরে আলাদা-আলাদা নিরাপত্তা থাকবে। এটি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য কঠিন হবে, কিন্তু আমাদের এসবের সাথে মানিয়ে নিতে হবে।’
আগামী জুলাইয়ে শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট ও টি-২০ সিরিজ শুরু করবে। দু’টি সিরিজের জন্য গতকালই একত্রে ২৯ সদস্যের দল ঘোষনা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২৯ জন খেলোয়াড়ের সাথে ১৪ জন অফিসিয়াল কর্মকতাও পাঠাবো পিসিবি।
মিসবাহ বলেন, ‘আমি এবং ডাক্তার সোহাইল সেলিম সফরের ব্যাপারে প্রত্যক খেলোয়াড়ের সাথে আলোচনা করেছি এবং প্রত্যেকেই পরিস্থিতির সর্ম্পকে অবগত আছে। সফর চলাকালীন করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ বা হালকা লক্ষণও দেখা দিলে, আমরা খেলোয়াড়দের যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করেছি। চার সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা, ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা ও মাঠে সবধরনের সুরক্ষা মেনে চলার জন্য মানিয়ে নিতে হবে তাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য সহজ নয়। এছাড়া আমরা তিন মাস ধরে খেলার মধ্যে নেই। দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড়রা মাঠের বাইরে, আমি সেটিও বিবেচনা করছি এবং মাঠে ফেরার জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে আছে। বাছাই করার জন্য আমাদের ভালো স্কোয়াড আছে এবং ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আমরা ভালো করতে পারি।’
ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান দলে ১০জন পেসার ও চারজন স্পিনার রয়েছে। আইসিসির নতুন নিয়মে বল-এ থুথু ব্যবহার করা যাবে না। তাই এই পরিস্থিতির সাথে বোলারদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে বলে মনে করেন মিসবাহ। প্রধান নির্বাচক হিসেবে তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে দু’টি ফরম্যাটের দল একত্রে নির্বাচন করা কঠিনই ছিলো।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরাটাই নির্বাচন করেছি এবং আমি জানি, ২৯ জনের স্কোয়াড অনেক বড়। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি, আমাদের লাল ও সাদা বলের ফরম্যাটের জন্য সেরা খেলোয়াড় আছে কারন আমরা একসাথে যাবো আবার একত্রে ফিরে আসবো।’
দল ঘোষনার আগে এ সিরিজে পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। স্পিন বোলিং কোচ হন মুশতাক আহমেদ। ইউনিসকে নিয়ে মিসবাহ বলেন, ‘ইউনিসের সাথে আমি দীর্ঘদিন খেলেছি। ভালো দিক হলো, তার সাথে এই দলের অনেকেই খেলেছে এবং তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা সকলেই ইউনিসের মানসিকতা, ম্যাচ পরিকল্পনা, কাজের নীতি ও অন্যান্য পরিকল্পনা বুঝতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জন্য অনেক বড় সহায়ক হবে ইউনিস এবং আমরা জানি, সে তার শতভাগ দিবে। সে আমাদের জন্য বড় সাহায্য হবে এবং ইংল্যান্ডে ক্যাম্প চলাকালীন আমাদের কাজের চাপ ভাগ করে নিতে পারবো এবং এতে ২৯ জন খেলোয়াড়কে সামলানো আমার জন্য সহজ হবে।’
বাসস/এএমটি/১৭১১/স্বব