করোনার কারনে দেশের বাইরে আইপিএল আয়োজনের ইঙ্গিত চেয়ারম্যানের

265

নয়া দিল্লি, ১২ জুন ২০২০ (বাসস) : আগামী দু’মাসের মধ্যে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব না কমলে, ভারত থেকে সড়ে যেতে পারে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। বিদেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজনের ইঙ্গিত দিলেন আইপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল।
শুক্রবার এএফপিকে প্যাটেল বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভারতে আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। যদি পরিস্থিতি আমাদের সুযোগ না দেয়, তবে আমরা অন্য বিকল্পের দিকে মনোযোগ দেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাসে বা পরবর্তী দুই মাসে পরিস্থিতি কি হয়, সেদিকে নজর থাকবে আমাদের। তারপরে একটি সিদ্বান্ত নিতে পারবো আমরা।’
বিশ্বের এ পর্যন্ত ৭৫ লাখের বেশি মানুষ এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। সবচেয়ে বেশি মুম্বাই, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
এর আগে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি দু’বার দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৯ সালে আইপিএলের দ্বিতীয় আসরটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর ২০১৪ আসরের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
ইতোমধ্যে আরব আমিরাত ও শ্রীলংকা আইপিএলের ১৩তম আসর আয়োজনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্যাটেল জানান, আমি এখনো আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আইপিএল আয়োজনের একটা উইন্ডো দেখছি।
কিন্তু নির্ধারিত সময়েই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে কি-না, সম্প্রতি দু’বার বৈঠক করেও তা নিয়ে এখনো সিদ্বান্ত নিতে পারেনি ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা আইসিসি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করে বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্বান্ত নিবে আইসিসি। আগামী মাসে আবারো আইসিসির বৈঠক রয়েছে।
ভারতের হয়ে ২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলা প্যাটেল বলেন, ‘আইপিএল আয়োজনের জন্য আমরা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে তাকিয়ে আছি। কিন্তু সবকিছ্ইু নির্ভর করছে, অন্যান্য টুর্নামেন্টের উপর। এই মূর্হুতে কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আইপিএল আয়োজনের জন্য আমরা আমাদের পরিকল্পনা ধরে রেখেছি।’
পুরো আইপিএল আয়োজন করতে সাধারনত সাত সপ্তাহ লাগে। বিসিসিআই’র সভাপতি বলেছিলেন, সংক্ষিপ্ত করে আয়োজন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টি-২০ টুর্নামেন্টও আছে। যার আয়োজক হতে পারে আরব আমিরাত ও শ্রীলংকা।
গেল ২৯ মার্চ থেকে আইপিএলের ১৩তম আসরের নির্ধারিত সূচি নির্ধারিত ছিলো। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের করোনাভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় শুরুর আগেই টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেয়া হয়।
আইপিএল আয়োজনের লক্ষ্য ধরে রেখেছে বিসিসিআই। কিন্তু পরিস্থিতির কারনে আইপিএল নিয়ে সিদ্বান্ত নিতে পারছে না তারা।
চলতি সপ্তাহে গাঙ্গুলী বলেন, রুদ্ধদার স্টেডিয়ামে হলেও আইপিএল আয়োজন করা হবে।
বিসিসিআই’র ট্রেজারার অরুন ধুমাল এএফপিকে বলেন, যদি আইপিএল পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায়, তবে বোর্ডের ৫শ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে। এই টুর্নামেন্ট থেকে বড় অংকের আয় হয়ে থাকে বিসিসিআই’র। ভারতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান ১১ মিলিয়ন ডলার