সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

336

ঢাকা, ১১ জুন, ২০২০ (বাসস) : আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, এটি প্রস্তাবিত বাজেটের ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩ দশমিক ০১ শতাংশ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, লকডাউন, শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের আয় কমে দারিদ্র নিরাপত্তায় সরকারের অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার চলতি অর্থবছরে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি নতুন করে আরও ১১ লাখ ৫ হাজার মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার প্রস্তাব করেন। এরমধ্যে নতুন করে ৫ লাখ বয়স্ক ভাতা, সাড়ে ৩ লাখ বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা ও ২ লাখ ৫৫ হাজার প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনার কথা উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র, ২০১৫’ এর আলোকে করোনা পরিস্থিতি থেকে দরিদ্র অসহায় মানুষের অবস্থা উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দরিদ্র জনগণের অবস্থা উন্নয়নে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রতি বছর বরাদ্দ বৃদ্ধি করে চলছি। বর্তমানে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সব দরিদ্র, প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে ৫ লাখ মানুষ নতুন উপকারভোগীতে যোগ হবে এবং এ খাতে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হবে। করোনা মহামারির কারণে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সব বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে সাড়ে ৩ লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে এবং এ খাতে ২১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশেষ প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযাযয়ী ২ লাখ ৫৫ হাজার নতুন ভাতাভোগী যুক্ত করে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীর সংখ্যা ১৮ লাখে বৃদ্ধি করা হবে। এ বাবদ ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এছাড়াও দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, ভিজিডি কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ, ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার সিরোসিস রোগীদের সহায়তা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি ইত্যাদি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।