স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগে ৩৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

302

ঢাকা, ১১ জুন, ২০২০ (বাসস) : ২০২০-’২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২০-’২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
বিগত ২০১৯-’২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৩৭ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এ বছরের বরাদ্দ প্রস্তাব গত বছরের বরাদ্দ প্রস্তাবের চেয়ে ১ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা কম।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নের ধারণা আমাদের স্বাধীনতার পেছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। আর সেজন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পল্লী উন্নয়নকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মুল দর্শন হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য দেশের সংবিধানে ১৬ অনুচ্ছেদে একটি ধারা যুক্ত করেছিলেন।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি রূপকল্প( ভিশন) প্রদান করেছেন। যে ভিশন অনুযায়ী দেশের সকল গ্রাম হবে পরিকল্পিত ও উন্নত। বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘ আমার গ্রাম-আমার শহর ’ ধারনার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশের গ্রামগুলোতে শহরের সকল সুবিধা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামীন জনগোষ্টীর শতকরা ৩৫ ভাগ থেকে ৩৫ দশমিক ৭৫ ভাগ গ্রামীন সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত গত ১১ বছরে ৬২ হাজার ১৪৯ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তারমধ্যে ৯৩ দশমিক ৮৪ ভাগ উপজেলা পর্যায়ে, ৭৯ দশমিক ৩২ ভাগ ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ২০ ভাগ সড়ক গ্রাম পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীন অর্থনীতির দ্রুত সম্প্রসারণে গ্রামীন এই সড়ক যোগাযোগ ব্যাপক অবদান রাখছে।
কামাল জাতীয় সংসদকে অবহিত করে আরো বলেন, গ্রামীন এলাকায় এই উন্নয়নের সঙ্গে ৮৩০ সড়ক ও ফুটপাত, ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন এবং ছোট ও বড় শহরে তিন হাজার মিটার সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এ সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ১২ কোটি কর্মঘন্টা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং ব্যাপক পরিমাণে পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।