বাসস দেশ-১৯ : করোনা পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক : রংপুর চেম্বার

193

বাসস দেশ-১৯
রংপুর চেম্বার-বাজেট প্রতিক্রিয়া
করোনা পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক : রংপুর চেম্বার
রংপুর, ১১ জুন, ২০২০ (বাসস) : বাজেটের ওপর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডার্ষ্টির (আরসিসিআই) সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেছেন চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবমুখী ও ব্যবসা সহায়ক হবে।
আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজট) অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উত্থাপিত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
আরসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতির বিরাজমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতির ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মানুষের জীবন- জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ নিয়ে স্বাস্থ্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কৃষি, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগকে গুরুত্ব দেয়ায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ দেশের অর্থনৈতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বাসসকে জানান, বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি খাতে।
পাশাপাশি তিনি মনে করেন , নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসা- বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধারসহ দেশীয় প্রযুক্তিতে কৃষি যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করোনা পরীক্ষার কিট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি, মাস্ক, সুরক্ষা পোশাকসহ প্রয়োজনীয় বেশ কিছু মেডিকেল পণ্য আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক মওকুফ করায় করোনা রোগীদের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হবে।
এছাড়া বাজেটে করোনাকালে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর ফলে নি¤œধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীরা উপকৃত হবেন।
বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সীমা বৃদ্ধি, সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা, সর্বনি¤œ কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
স্থানীয় শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে বেশকিছু খাতে আমদানি শুল্ক ছাড়, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কয়েকটি খাতে কর অবকাশ সুবিধা, অপেক্ষাকৃত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান টার্নওভার ট্যাক্স কমানো হয়েছে।
এছাড়া, বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট ঠিক রেখে শিল্পের আমদানির ক্ষেত্রে তা কমিয়ে ৩ শতাংশ ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে কর ও ভ্যাট আইনে সংস্কার, বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে করপোরেট কর (নন্ধসঢ়;লিস্টেড) কোম্পানির ক্ষেত্রে করহার ৩৫ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৩২.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা, ঋণ পুনঃ তফশীল করার সুযোগ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহন, রপ্তানিমুখী পন্যের ০.৫ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে।
ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, এর ফলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে টিটু মনে করেন।
বিনিয়োগ বাড়াতে শর্ত সাপেক্ষে অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগকেও স্বাগত জানান তিনি।
বাসস/এমআই/কেসি/১৮৪০/এমএসআই