বাসস দেশ-১৬ : করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের : তদন্ত প্রতিবেদন

বাসস দেশ-১৬
ইউনাইটেড- তদন্ত প্রতিবেদন
করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের : তদন্ত প্রতিবেদন
ঢাকা, ১১ জুন, ২০২০ (বাসস) : রাজধানীর গুলশানস্থ বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল বলে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অবহেলার কারণেই বৈদ্যুতিক গোলযোগে এসিতে আগুন লাগে এবং করোনা ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন আজ সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি বুধবার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
ফায়ার সার্ভিস ডিজি বলেন, প্রতিবেদনে ‘দু’টি বিষয় আমরা উল্লেখ করেছি। প্রথমত, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসোলেশন ইউনিটের জন্য টেম্পোরারি শেড তৈরি করেছে। এটা তৈরির জন্য যে ম্যাটেরিয়ালগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো অতি দাহ্য পদার্থ ছিল এবং সেখানে সেন্ট্রাল বা একটিভ কোনও ফায়ার প্রটেকশন ছিল না বলেও জানান তিনি। দ্বিতীয়ত, ভেতরে যারা ছিলেন (চিকিৎসক, নার্স বা স্টাফ) তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি।
ডিজি জানান, আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগার পর যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন হাসপাতালের দায়িত্বরতরা। কিন্তু তারা আগুন নেভাতে কোনও কাজ করেননি। ভবিষ্যতে এ ধরনের টেম্পোরারি শেড তৈরি করতে হলে অবশ্যই অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং এগুলোকে কেন্দ্রীয় ফায়ার প্রকেটশন সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বলেও জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, হাসপাতালের সামনের অংশে নির্মাণ করা আইসোলেশন ইউনিটে কোনও ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ভেতরে এসি ছিল। ওই এসিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিলে সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা ছড়িয়ে পাড়ে।
গুলশান থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বাসসকে জানান, গত ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুন লাগে। সেখানে ভর্তি থাকা পাঁচ জন রোগী আগুনে পুড়ে মারা যান। পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। বাকি দু’জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য সেখানে ভর্তি ছিলেন।
মৃত এক ব্যাক্তির স্বজন বাদি হয়ে এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।
এরআগে ঘটনার পর গত ২৮ মে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার সেই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭৫০/এএএ