বাসস ক্রীড়া-১৪ : যতটুকু সম্ভব দ্রুতগতির বোলিং করতে চান তাসকিন

225

বাসস ক্রীড়া-১৪
ক্রিকেট-তাসকিন-দ্রুতগতি
যতটুকু সম্ভব দ্রুতগতির বোলিং করতে চান তাসকিন
ঢাকা, ১০ জুন ২০২০ (বাসস) : এই মুহুর্তে লাইন ও লেন্থ ঠিক করার কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। তবে একই সময় নিজের বোলিংয়ের গতিও বাড়াতে চান তিনি। তার মতে যত দ্রুত গতিতে বল করতে পারবেন ততই বিপজ্জনক বোলার হিসেবে ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন তাসকিন।
তাসকিন চান নিয়মিত ভাবেই প্রতিঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে। যদিও তিনি জানেন যে এমন দ্রুত গতিতে বল করতে হলে নিজের ফিটনেসও সেভাবে ধরে রাখতে হবে। জাতীয় দলে ফেরার জন্য মরিয়া এই ফাস্ট বোলার বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন,‘ দ্রুত গতিতে বল করতে পারলে জানি আমি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারব। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি দ্রুত বল করতে পারতাম এবং প্রচুর উইকেটও পেয়েছি। সে সময় সবাই বিশেষ করে মাশরাফি ভাই আমাকে বলতেন সম্ভব দ্রুত বল করতে। আমিও জোড়ালো বোলিংকে উপভোগ করতাম।’
তবে দুর্দান্তভাবে শুরুর পর ইনজুরির কবলে পড়ে নড়বড়ে হয়ে যায় তাসকিনের ক্যারিয়ার। অবশ্য ইনজুরি কাটিয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে জায়গা লাভে সক্ষম হন।
ভারতের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত এক মাত্র টেস্টে তাসকিনের বোলিং তোপে পড়ে স্বাগতিক ভারতের নামী দামী ব্যাটসম্যানরা পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলেন। ওই সিরিজের পর ধারনা করা হয়েছিল তিনি যে কোন ফর্মেটেই দলের সেরা বোলার হিসেবে নিজকে বসাতে পারবেন। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি।
আরেক দফার ইনজুরি তাকে দল থেকেই বের করে দেয়। এর পর থেকে ছন্দ ফিরে পাবার জন্য আপ্রান চেস্টা চালিয়ে যান তাসকিন।
২০১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) চলাকালে কিংবদন্তী পেসার ওয়াকার ইউনুসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল তাসকিনের। এ সময় তিনি ফের আগ্রাসী মেজাজ ফিরে পান। ফলে জায়গা করে নেন বিশ^কাপগামী স্কোয়াডে। তবে এর পর আরেক দফার ইনজুরি আরো একবার দলের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে তাসকিনকে।
এই পেসার বলেন,‘ এর পর থেকে আমি অপেক্ষা করছি জাতীয় দলে ফেরার। আমি সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। মনে হচ্ছে আমি ফের আমার সেরা ফর্ম ফিরে পাচ্ছি।’ জাতীয় দলে আবারো প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগকেই (ডিপিএল) বেছে নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু কোভিড-১৯ এর ব্যাপক সংক্রমন অনির্দিস্ট কালের জন্য শুধু দেশের ক্রিকেটকেই থামিয়ে দেয়নি, হতাশ করেছে তাসকিনকেও।
বাংলাদেশের এই পেসার বলেন,‘ আমি শুধু একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছি। সেটি খুব একটা ভাল হয়নি। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, কয়েক ম্যাচে খেলতে পারলেই আমি নিজের সেরা অবস্থান ফিরে পাব। করোনা ভাইরাসের এই প্রকোপ আমাকে খুবই হতাশ করেছে। তবে আমি নিজের বাড়ীতে এবং জিমে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে অনুশীলন ও ম্যাচ অনুশীলন সম্পুর্ন ভিন্ন। আমি এখনো ভাল অবস্থা অনুভব করছি। আমি যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে নিজের জোড়ালো বোলিং সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারতাম।’
বাসস/এসএমপি/এমএইচসি/১৯৪০/স্বব