বাসস দেশ-৪০ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : বাংলাদেশ এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটন খাতে এসওপি চূড়ান্ত করবে

381

বাসস দেশ-৪০ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
পর্যটন-বাংলাদেশ-এসওপি
বাংলাদেশ এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটন খাতে এসওপি চূড়ান্ত করবে

পিএটিএ বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক তৌফিক রহমান বলেন, ‘করোনা পরবর্তী পর্যটনে এসওপি পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদ- হতে যাচ্ছে।’
পর্যটনের আরো ভাল ব্যবস্থাপনার লক্ষে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ইতোমধ্যে তাদের এসওপি প্রটোকলের খসড়া প্রস্তুত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পর্যটন ব্যবসাকে আবার দাঁড় করাতে আমাদেরও একইভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এসওপি প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা প্রদানের জন্য তারা খসড়া এসওপি প্রণয়ন করেছে।
পিএটিএ প্রণীত খসড়া এসওপি অনুযায়ী পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তারা সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নদী ভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র, প্রতœত্বাত্তিক নিদর্শন, জাদুঘরের মতো কম জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোকে গ্রিন জোন আর উৎসবস্থল, বাজার, বস্তি এলাকা, বন্দর ও স্টেশনগুলোকে রেড জোনে ভাগ করার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়াও তারা সিডান গাড়িতে ১/২ জন অতিথি, ৭ আসনের ভ্যানে ২/৩ জন, ১২ আসনের ভ্যানে ৪/৫ জন, ২৯ আসনের মিনিবাসে ১০/১১ জন ও ৩৬ আসনের বাসে ১৬/১৭ জন অতিথি বহনের পরামর্শ দিয়েছে।
পিএটিএ’র এসওপিতে বলা হয়েছে, চালক, অতিথি ও সহকারীদেরমতো সেবা প্রদানকারীদের জন্য স্বা¯্য’ সনদ পেশ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা এবং সকলকে অবশ্যই মাস্ক, ক্যাপ, গগলস, হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করা নিশ্চিত করতে হবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আশঙ্কা করছে, পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে চলতি বছর বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটরদের প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
পিএটিএ বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে, করোনার কারণে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আনুমানিক ৯ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল জানিয়েছে, করোনার কারণে এই খাতে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি চাকরী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বাসস/টিএ/অনুবাদ-কেএআর/-শআ/২২০৮/এবিএইচ