বাসস দেশ-৩৯
স্বাস্থ্য সুরক্ষা- নির্দেশিকা
স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকার চূড়ান্ত অনুমোদন
ঢাকা, ৯ জুন, ২০২০ (বাসস) : কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় “স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল।
আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এক সভায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকার খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা প্রণয়ন করে।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) ড. রেজাউল হক, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল কুমার দাস, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, আইএলও বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনিরা সুলতানা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মন্নুজান সুফিয়ান বলেন,করোনা মহামারীর সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কারখানা চালু রাখা যেমন জরুরী তেমনি শ্রমিক মালিকসহ সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে কল-কারখানা চালাত হবে। তিনি বৈশ্বিক এ মহামারীর সময়ে মালিকদের আরো মানবিক হওয়ার আাহ্বান জানান। সবাইকে সচেতন এবং সহনশীলতার সাথে এ দুর্যোগ মোকাবেলার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে চললে করোনাকে জয় করা সহজ হবে । সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক এবং কমিটির সদস্যসচিব শিবনাথ রায় করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকদের সুরক্ষায় গৃহিত পদক্ষেপ এবং এ নির্দেশিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উপ-মহাপরিদর্শক(স্বাস্থ্য) মো.মতিউর রহমান স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকার খুঁটিনাটি উপস্থাপন করেন।
সভায় জানানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্টানিক সকল খাত এমনকি যে সকল কারখানা শ্রম আইন মেনে চলে না তাদেরও এ নির্দেশিকা কাজে লাগবে। মালিকগণ কল কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কর্মপরিকল্পনা করলে এ নির্দেশিকা পরিপূর্ণ গাইড লাইন হিসেবে কাজ করবে। কারখানা পর্যায়ে কিভাবে কাদের দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে তাও সুনিদিষ্ট করা হয়েছে।
বাসস/সবি/এমএআর/২১১৫/এবিএইচ