বাসস দেশ-৮ : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল পেলেন বাংলাদেশের ১১০ নৌ সেনা সদস্য

142

বাসস দেশ-৮
শান্তিরক্ষা-মেডেল-নৌবাহিনী
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল পেলেন বাংলাদেশের ১১০ নৌ সেনা সদস্য
ঢাকা, ৯ জুন, ২০২০ (বাসস) : লেবাননের বৈরুতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১১০ জন সদস্য শান্তিরক্ষা মেডেল পেয়েছেন।
ইউনাইটেড নেশন ইনট্রিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউএনআইএফআইএল)-এর মেরিটাইম টাস্কফোর্স (এমটিএফ) কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল সেরগিও রেনাটো বেরনা সেলগুইরিনিও বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়ের কর্মকর্তা ও নাবিকদের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মেডেল তুলে দেন।
সম্প্রতি লেবাননের বৈরুতে মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেবানীজ নৌবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ সিনিয়র ক্যাপ্টেন হিইশাম দানাওই।
আইএসপিআর-এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের সমুদ্রসীমা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত বিশ্বের একমাত্র এমটিএফ-এ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট ও প্যাট্রোল ক্রাফটসমূহ এক দশকের বেশী সময় ধরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে।
ব্রাজিল, জার্মানী, গ্রীস, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ও নৌসদস্যগণ ভূ-মধাসাগরের লেবানীজ জলসীমার নিরাপত্তা প্রদান ও অবৈধ সরঞ্জাম প্রবেশ রোধের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
এতে নৌবাহিনীর সদস্যগণ পেশাগত দক্ষতা ও নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দেশ ও জাতির সুনাম বৃদ্ধি করছে।
মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে এমটিএফ কমান্ডার শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সকল নৌসদস্যকে সফলভাবে মিশন কর্মকান্ড সম্পাদনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া, তিনি সকল নৌসদস্যকে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ¡শান্তি কার্যক্রমে স্বার্থক এবং নিবেদিতভাবে অবদান রাখার জন্য সাধুবাদ জানান।
তিনি বর্তমানে বৈশি¡ক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদূর্ভাবের কারণে সকলকে বিশেষ স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নীতিমালা ও নির্দেশনা অনুযায়ী সকল পদক্ষেপ যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ বিজয় এর সকল নৌসদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
জাতিসংঘের ম্যানডেট অনুযায়ী ইউএনআইএফআইএল)-এ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাফল্যের ধারাবাহিকতার জন্য তিনি নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাসস/আইএসপিআর/এমএন/১৪০৫/-/অমি