বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

200

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-কেবিনেট
মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনার (ভার্চুয়াল আদালত) জন্য এ সংক্রান্ত জারিকৃত অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য এদিন ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনটি কার্যকর হলে বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৭ মে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করেছে সরকার। এখন সংসদ অধিবেশন বসছে, তাই, অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।
খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী আদালতে মামলার পক্ষ বা তাদের পক্ষে নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের এবং সাক্ষীদের সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে এক মাসের অধিক সময় ধরে কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যতীত আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং মানুষের সমাগম হয় এমন সব কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া হলেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে অধিকতর জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে দেশের সব আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করতে হলে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনপূর্বক অনুমোদন করাতে হবে।’
‘অন্যথায় ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
এছাড়া এদিন, ‘আদালত কতৃর্ক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন এবং সরকারি মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী এবং চীনের চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানী (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিওয়েবল) নামে কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব এবং উহা গঠনের লক্ষ্যে এতদ সংশ্লিষ্ট জয়েন্ট ভেঞ্চার, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশনে’র খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য নীতিমালা বাস্তবায়নকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভ্যন্তরীণ ও আমদানীকৃত কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), পরমাণু শক্তি ইত্যাদির সাথে সাথে নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৫শ’ মেগাওয়াট পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য সরকারি মালিকানা ভিত্তিক ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী লিমিটেড (নওপাজেকো) এবং চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (সিএমসি) এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানী (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিওয়েবল) নামে কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সচিব বলেন, বর্নিত জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী গঠনের ক্ষেত্রে নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডে’র শেয়ার হবে ৫০ শতাংশ এবং চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (সিএমসি)-এর শেয়ার হবে ৫০ শতাংশ।
খন্দকার আনোয়ার বলেন, প্রস্তাবিত কোম্পানীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটি একটি নবায়নযোগ্য জ¦লানি সৌর ও বায়ু শক্তি) ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানী হবে। যার পরিশোধিত মূলধনের পরিমান হবে ১৬ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে জীবাশ্ম জ¦ালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশ দূষণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।
প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখকে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কতৃর্ক জারিকৃত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভূক্তকরণের প্রস্তাব দেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পরিসংখ্যানকে আরো জনকল্যাণমুখী ও মানুষের দোরগোড়ায় উপস্থাপনের জন্য ২৭ ফ্রেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ পাশ হয় এবং আইনটি ৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
বাসস/এএসজি-এফএন/২০১৫/আরজি