বাসস দেশ-৩২ : মানবপাচারারের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না : র‌্যাব ডিজি

194

বাসস দেশ-৩২
র‌্যাব ডিজি-ব্রিফিং
মানবপাচারারের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না : র‌্যাব ডিজি
ঢাকা, ৮ জুন, ২০২০ (বাসস) : র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লহ আল মামুন বলেছেন, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীর যে হত্যাকান্ড ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ইতোমধ্যে এর মূলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লিবিয়ার হত্যাকান্ডসহ মানবপাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র‌্যাব ডিজি আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে তাদের নিজস্ব একটি অ্যাপস উদ্বোধন ও করোনায় মারা যাওয়া চার সাংবাদিকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিক সময়ে যেসব কার্যক্রম করে থাকি করোনাকালেও তা করছি। আমাদের বাহিনীর সদস্যরা এই সময়ে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে কাজ করে যাচ্ছে’।
সাংবাদিক পরিবারগুলোকে অর্থসহায়তার বিষয়ে ডিজি র‌্যাব বলেন, ‘আমরা সবসময় সাংবাদিকদের পাশে আছি, থাকবো। কেউ এভাবে স্বজন হারা হোক তা আমরা চাই না। আমাদের যাতে এমন অনুষ্ঠান আর করতে না হয় সেটাই কামনা করছি’।
র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, করোনা চিকিৎসায় র‌্যাব সদস্যরা সহযেগিতা করছে। সারাদেশে যাতে হাসপাতালে চাপ না বাড়ে সেজন্য কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল করেছি। সেখানে রোগীরা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে অক্সিজেনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে’।
র‌্যাব তাদের বাহিনীর আক্রান্ত সদস্যদের আপডেট জানতে একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। বাহিনীর কতজন সদস্য আক্রান্ত তা অ্যাপসের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়শেন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি আবুল খায়ের এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু এবং র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্ট্যান্ট কর্ণেল. সারোয়ার বিন কাশেম ।
এসময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে ক্র্যাবকে দু’টি অত্যাধুনিক অক্সিজেন কনসেন্টেটরসহ মেডিক্যাল সামগ্রী উপহার দেয়া হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০১০/এবিএইচ