বাসস ক্রীড়া-১ : ইউরোপিয়ান নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে সিটির আপিলের শুনানি কাল

98

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-ম্যান সিটি
ইউরোপিয়ান নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে সিটির আপিলের শুনানি কাল
লন্ডন, ৭ জুন ২০২০ (বাসস) : ইউরোপীয়ান সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির করা আপিলের শুনানি কাল ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)-এ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে উয়েফার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) আইন ভঙ্গের কারনে সিটিকে এই শাস্তির পাশাপাশি ৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়।
২০১৮ সালে জার্মান ম্যাগাজিন ডার স্পিজেল বেশ কিছু গোপনীয় ই-মেইল ফাস করে। সেখানেই ধরা পড়ে সিটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা বাবদ বাড়তি অর্থ আয় করেছে যা মূল রাজস্বের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। এখানে সিটির সাথে আবু-ধাবী ভিত্তিক একটি ক্লাবের মালিক শেখ মানসুরের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। শেখের অধীনে সিটির সৌভাগ্য নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছাড়িয়ে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পায়। গত আট বছরে সিটিজেনরা চারটি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করেছে। যদিও খেলোয়াড় ও কোচের পিছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা সত্তেও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা অধরাই থেকে গেছে। এবারের মৌসুমে এখনো পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে রয়েছে বর্তমান ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। করোনার কারনে যদিও এবারের মৌসুম আপাতত বন্ধ রয়েছে। আগস্টে মাঠ ফেরার একটি ইঙ্গিত দিয়েছে উয়েফা।
যদিও ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা স্বাভাবিক ভাবেই ক্লাবের ঐতিহ্য ও মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করেছে। এ কারনেই ম্যানেজার পেপ গার্দিওলাসহ কেভিন ডি ব্রুইনা ও রাহিম স্টার্লিংয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়ের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত মাসে ডি ব্রুইনা বলেছেন, ‘দুই বছর খুব বেশী লম্বা সময়। এক বছর হলে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করা যেত।’
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুবাদে সিটি এককভাবে প্রাাইজমানি ও টেলিভিশন স্বত্ব বাবদ আয় করেছিল ৯৩ মিলিয়ন ইউরো । নিষেধাজ্ঞার কারনে ভবিষ্যতে কোন ধরনের আর্থিক বিষয় কাটছাঁট না করে এফএফপি আইন মেনে চলা সত্যিকার অর্থেই কঠিন হয়ে পড়বে।
উয়েফার অভিযোগ অবশ্য প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে সিটিজেনরা। এ সম্পর্কে সিটি ফুটবল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ফেরান সোরিয়ানো বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতার আলোকে বলাই যায় এই অভিযোগের মধ্যে সুবিচারের থেকে রাজনীতিই বেশী প্রাধান্য পেয়েছে।’
ক্লাবের ওপর এধরনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কারনে লা লিগা সভাপতি জেভিয়ার তেবাসের তোপের মুখে পড়েছিল উয়েফা। এই কেসে উয়েফা পরাজিত হলে এফএফপি আইন ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
করোনাভাইরাসের কারনে আপীলের শুনানী সোমবার থেকে বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। সিএএস’র সেক্রেটারী জেনারেল ম্যাথিউ রিব বলেছেন, শুনানীর পরপরই কোন রায় দেবার সম্ভাবনা খুবই কম। এক্ষেত্রে জুলাই মাসে কিছু ঘোষনা করা হতে পারে। সিটির আপীল যদি ব্যর্থ হয় তবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা সুইস ফেডারেল কোর্টের কাছে পরবর্তী আপীল করতে পারবে।
প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান টেবিল অনুযায়ী পঞ্চম স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিটিজেনরা। যদি তাদের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তবে টেবিলের পঞ্চম স্থানে দলটি আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করবে।
বাসস/নীহা/১৬৩৬/স্বব