বাসস ক্রীড়া-৯ : টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী-রাহুলকে অবাক চোখে দেখছিলাম : তামিম

100

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রিকেট-তামিম
টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী-রাহুলকে অবাক চোখে দেখছিলাম : তামিম
ঢাকা, ৫ জুন ২০২০ (বাসস) : ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮ বছর বয়সে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ছিলো। ঐ সিরিজ শেষে একই মাসে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যান তামিম।
১৭ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে বল হাতে নেমে পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার ৪, দুই স্পিনার মোহাম্মদ রফিক-আব্দুর রাজ্জাকের ৩টি করে উইকেট শিকারে ভারতকে ১৯১ রানেই অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ৯ বল বাকী রেখে ৫ উইকেটে জয় তুলে বিশ্বকে চমকে দেয় বাংলাদেশ।
ওপেনার হিসেবে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন তামিম। এই ইনিংস খেলার পথে ভারতের পেসার জহির খানকে উইকেট ছেড়ে মিড-অনের উপর দিয়ে যে ছক্কাটি মেরেছিলেন তামিম, তা এখনো ক্রিকেটপ্রেমিদের চোখে ভাসে।
তবে ঐ সময় ভারতের তিন মহাতারকা শচীন টেন্ডুলকার-সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়কে অবাক চোখে দেখছিলেন তামিম। এই তিন তারকার দিকেই বেশি নজর ছিলো তার। কারন ঐসময় মাত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথ চলা শুরু হয়েছিলো তামিমের। আর টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী ও দ্রাবিড়ের মত তারকা বিশ্ব মঞ্চ কাঁপাচ্ছিলেন। তাই স্বপ্নের তারকাদের দেখে চোখ কপালে উঠে যাবার মত অবস্থা ছিলো তামিমের।
সম্প্রতি একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে ভারতের সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকারের সাথে ভিডিও কথোপকথনে বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচ নিয়েও নিজের স্মৃতি তুলে ধরেন তামিম।
তখনই টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী ও দ্রাবিড়কে দেখার অভিজ্ঞতা জানান বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম। তিনি বলেন, ‘২০০৭ বিশ্বকাপে যখন ভারতের বিপক্ষে খেলছিলাম, তখন টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী ও দ্রাবিড়েরকে দেখতেই আমি বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি শুধু তাদের দেখেই যাচ্ছিলাম। এই কিংবদন্তিদের সাথে খেলছি বলে, খুব খুশি ছিলাম।’
২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ঐ জয় এখনো মনের মধ্যে টগবগ করছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিদের। ভারতের বিপক্ষে ঐ জয়টিই বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত বলে জানান তামিম, ‘২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই জয় ছিল অসাধারন। ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেটপ্রেমী, সবার কাছেই ওটা ছিল অসাধারন জয়। বাংলাদেশ যে কিছু করার ক্ষমতা রাখে, ঐ জয়ই সাহস দিয়েছিলো।’
ভারতের ইনিংস ১৯১ রানে শেষ হওয়ায়, জয়ের আত্মবিশ্বাস জন্মেছিলো বলে জানান তামিম। আর ব্যাটিংএ নেমে জহিরের মত দ্রুত গতির বোলারকে বাউন্ডারি মারাতেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন বললেন তিনি, ‘ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি, আমাদের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই জহির খানকে মোকাবেলা করতে হয়। ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতিতে বল করে এমন কাউকে সামলাতে পারব, বলে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করছিলাম। জহিরের প্রথম বল কোনও মতে সামলেছিলাম। পরের বলে মেরেছিলাম বাউন্ডারি। আর তাতেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম।’
বাসস/এএমটি/১৮০০/স্বব