করোনায় শহীদ আট পুলিশ ও আনসার সদস্যের পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা দিলেন ডিএমপি কমিশনার

258

ঢাকা, ৪জুন, ২০২০ (বাসস): করোনা ভাইরাসে জীবন উৎসর্গ করা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৮ জন ও এক আনসার সদস্যের পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে করোনায় শহীদ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রাজু আহম্মেদ ও আনসার সদস্য আব্দুল মজিদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন ডিএমপি’র ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা।
এছাড়াও কুমিল্লা, লক্ষীপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও বরগুনা জেলার পুলিশ সুপারগন নিজ অফিসে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে দেয়া আর্থিক অনুদান হস্থান্তর করেন।
ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বাসসকে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা। ফলে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরাই। দেশ ও জনগণের সুরক্ষা-সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজের জীবনকে অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছেন বীর পুলিশ সদস্যরা। দেশ ও জাতীর জন্য তাঁদের এ ত্যাগ ইতোমধ্যে জনমনে স্থান করে নিয়েছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশের সদস্যদের মধ্যে একটা বৃহদাংশ ডিএমপি’র সদস্য। মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিএমপি’র ১ হাজার ৭০৬ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি জানান, জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে ডিএমপি’র আট জন সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন। তাঁরা হলেন কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রাজু আহম্মেদ, পশ্চিম বিভাগের এসআই (সশস্ত্র) মো. সুলতানুল আরেফিন হিরা, দক্ষিণ বিভাগের এএসআই (সশস্ত্র) রঘুনাথ রায়, দক্ষিণ বিভাগের এএসআই (সশস্ত্র) মো. আবদুল খালেক, পরিবহন বিভাগের নায়েক মো. আল মামুনুর রশীদ, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টবল মো. আশেক মাহমুদ, ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কনস্টবল মো. জালাল উদ্দিন খোকা, ওয়ারী বিভাগের কনস্টবল মো. জসিম উদ্দিন এবং গুলশান বিভাগের আনসার সদস্য আব্দুল মজিদ।
করোনা যুদ্ধে এ পর্যন্ত পুলিশের ১৬ জন দেশপ্রেমিক ও অকুতোভয় সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নির্দেশনায় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সুস্থ হয়ে তারা পুনরায় কাজে আত্মনিয়োগ করছেন।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা। জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৫ হাজার ৩৩৩ জন গর্বিত সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য।