ঢাকা কোভিড-১৯ বিষয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে

329

ঢাকা, ২ জুন, ২০২০ (বাসস) : জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা এবং সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি মহামারিটির এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অতিরিক্ত সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জামগুলোতে ফ্যাক্টরিংয়ের গুরুত্বের উপর জোর দিন।
সোমবার রাষ্ট্রদূত ‘বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণে অবদানের চ্যালেঞ্জ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনসমূহ’ মূল্যায়ন সম্পর্কে এক ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন কর্তৃক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ডাচ থিংক-ট্যাঙ্ক প্যাকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, রুয়ান্ডা এবং উরুগুয়ের স্থায়ী মিশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য, প্রশিক্ষণগুলো অপারেশন স্থলে কার্যকর হওয়ার জন্য, তাদের অবশ্যই প্রয়োজন মত উপযুক্ত হতে হবে, এবং পরিপার্শিক প্রেক্ষাপট এবং স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যতার জন্য যথেষ্ট নমনীয় হতে হবে বলে ফাতেমা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
নাগরিকদের সুরক্ষা সংঘাতগ্রস্থ দেশ ও ভঙ্গুর প্রেক্ষাপটে অংশীদারিত্বমূলক দায়িত্ব¡ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে তিনি সক্ষমতা ও সংস্থান ঘাটতি সংকুচিত করার জন্য সুরক্ষা কাউন্সিল, সেনা ও পুলিশ অবদানকারী দেশসমূহ এবং সচিবালয়ের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রাক-স্থাপনার প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার অঙ্গীকারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিআইপিএসওটি)-এর ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব তুলে ধরে তিনি কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ, যৌথ অনুশীলন, এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সৈন্য/পুলিশ অবদান দেশগুলোর (টি/পিএসএস) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সদস্য দেশ, জাতিসংঘ সচিবালয় এবং থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
জাতিসংঘে নেদারল্যান্ডস এবং উরুগুয়ের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি কারেল জে.জি. ভ্যান অস্টেরাম এবং কার্লোস আমোরান বক্তব্য রাখেন।