বাজিস-৭ : টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট ও মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি

206

বাজিস-৭
করোনা-জেলা-পরিস্থিতি
টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট ও মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাসসের টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট ও মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতারা জানান-
টাঙ্গাইল : জেলায় নতুন করে আরো ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কালিহাতী উপজেলায় ১, মধুপুরে ২, দেলদুয়ারে ৩, টাঙ্গাইল সদরে ২, নাগরপুরে ৫ এবং ঘাটাইলে ১, গোপালপুরে ৩, সখীপুরে ১ এবং মির্জাপুরে ১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৫ জনে। নতুন আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নাগরপুর থানা পুলিশের ২ এসআই এবং ১ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আজ বাসসকে জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন মারা যায় এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সফিকুল ইসলাম জানান, ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আক্রান্ত পুলিশ সদস্য কারও কোন উপসর্গ নেই। তাদের বাসা লকডাউন করা হবে। থানার কার্যক্রম চলবে।
জয়পুরহাট : সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বাসসকে জানান, জেলায় দুইজন চিকিৎসকসহ একদিনে ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৭ জনে।
সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো ৩১৮ টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় পাওয়া যায়। এরমধ্যে ১৯ জনের রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বগুড়া থেকেও একজনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ২০ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১২ জন, কালাইতে একজন, ক্ষেতলাল উপজেলার ২ জন, পাঁচবিবিতে একজন ও আক্কেলপুর উপজেলায় ২ জন।
এ ছাড়াও আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর হেলথ এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের আইসোলেশনে দায়িত্ব পালনকারী ২ জন চিকিৎসকও রয়েছেন। জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ওই দুই চিকিৎসক মানবিকতার ডাকে সাড়া দিয়ে স্ব-ইচ্ছায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছিলেন। করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করায় আজকেও একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা মুক্ত হলো ৭১ জন।
মৌলভীবাজার : করোনা উপসর্গ নিয়ে জেলার বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের (৫০) মৃত্যু হয় গতকাল সন্ধ্যায়। নমুনা সংগ্রহ করেছে বড়লেখা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দল। তিনি বড়লেখা পৌর শহরের পাখিয়ালা চৌমুহনী এলাকার ভাড়া বাসায় মারা যান। কয়েক দিন থেকে তিনি শ্বাস কষ্ট, জ¦র ও হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
মৃত ব্যক্তির নিজ বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার চাতলগাঁও গ্রামে রাতে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উক্ত ব্যক্তির পরিবারকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯১০/কেজিএ