বাসস দেশ-১৪ : ভারতে পঙ্গপালের হানা : ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোকে সহায়তার অঙ্গীকার মোদির

112

বাসস দেশ-১৪
ভারত পঙ্গপাল
ভারতে পঙ্গপালের হানা : ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোকে সহায়তার অঙ্গীকার মোদির
নয়াদিল্লী, ৩১ মে, ২০২০ (বাসস): ভারত বিগত কয়েক দশকের মধ্যে মরুভূমি পঙ্গপালের সবচেয়ে ভয়াবহ কবলে রয়েছে। পঙ্গপাল দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকায় হানা দিয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বলেছেন, দেশের বহু এলাকাই পঙ্গপালের কবলে রয়েছে। পঙ্গপালের এই হানা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ছোট্ট এই পোকা কতোটা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মোদি তার মাসিক রেডিও ভাষণে কেন্দ্র থেকে সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করে আরো বলেন, আমি আস্থাশীল নতুন উদ্ভাবনী উপায়ে কৃষিখাতের এই সংকট আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।
ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা এই পঙ্গপালের দল রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে হানা দিয়ে বিশেষ করে তুলা শস্য ও শাকসব্জির ব্যাপক ক্ষতি করছে।
সরকারি সূত্র মতে, গত ১১ই এপ্রিল থেকে এই মরুভূমি পঙ্গপালের দল ভারতে ঢুকতে শুরু করে। বর্তমানে গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের ৩৫ হাজার হেক্টর এলাকা পঙ্গপালের কবলে রয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জনগণকে পঙ্গপাল তাড়াতে পটকা ফুটাতে ও ড্রাম বাজাতে বলেছে।
বাতাসের গতিবেগ পাল্টালে দৌসা ও কারাউলির দিকে যাওয়া শস্যখেকো এই পঙ্গপাল দিল্লীতেও ঢুকে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
পঙ্গপালের একটি দল একদিনে ১৫ কিলোমিটার এলাকার খাবার সাবাড় করে ফেলতে পারে। এ কারণে খাদ্য সংকটের ঝুঁকি মোকাবেলায় কেন্দ্র ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ জোরদার করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা পঙ্গপাল সতর্কীকরণ সংস্থা বলছে, পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে তারা শস্যবিহীন এলাকায় ড্রোন থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক ছিটাচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন এলাকার কৃষক পঙ্গপাল তাড়াতে পুরনো পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে । তারা হাঁড়িকুড়ি, ড্রাম, প্লেট বাজিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানোর চেষ্টা করছে।
পঙ্গপালের এক বিশেষ প্রজাতি এই মরুভূমি পঙ্গপাল।দেখতে তারা ছোট শিঙওয়ালা ঘাসফড়িঙের মতো। চলার পথের সবকিছুই তারা গোগ্রাসে সাবাড় করে নেয়। এরফলে কোটি কোটি লোকের খাদ্য সরবরাহে নজিরবিহীন হুমকি তৈরির আশংকা দেখা দেয়।
বাসস/জুনা/১৭১৩/কেএমকে