বাসস দেশ-১৯
সিলেট-বৃষ্টিপাত
সিলেট অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত : বন্যার আশঙ্কা
সিলেট, ২৭ মে, ২০২০ (বাসস): সিলেট অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদিতে পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে বন্যার এ আশঙ্কা দেখা দেয়।
গত দুদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা, সারি ও চেঙ্গের খাল নদীতে পানি বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যান্য নদ-নদীর পানিও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ইতোমধ্যে সারি- গোয়াইনঘাট সড়কের কিছু কিছু অংশ তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যায় জৈন্তা উপজেলার পর্যটন এলাকা জৈন্ত-লালার খাল সড়কের কিছু কিছু স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়ার ফলে রাস্তটি কিছুটা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটে শিগগিরই বন্যার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) কর্মকর্তারা।
পাউবো সিলেট অফিস জানায়, টানা বর্ষন ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা ও সারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত সিলেটের সবকটি উপজেলায় সকল নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপরে না গেলেও এর কাছাকাছি অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা, সারি ও লোভা নদীর মতো কুশিয়ারা নদীর পানিও গত দুইদিনে বেড়েছে। তবে এখনো কুশিয়ারার পানি সিলেটের তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে সকল পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার জানান, অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ী এলাকা থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সবকটি নদীতে পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, জৈন্তপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় সিলেট অঞ্চলের কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম মঙ্গলবার ও আজ বুধবার বন্যায় ঝুকিপূর্ণ জৈন্তপুর, গোয়াইনঘাট সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান বন্যা পরিস্থির কারণে জেলার সকল উপজেলা প্রশাসনকে সতর্ক রাখা হয়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
বাসস/মকসুদ/কেসি/২০৪১/এবিএইচ