আশরাফুলের অন্যরকম সর্তক বার্তা

401

ঢাকা, ২৬ মে ২০২০ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যরকম বার্তা দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলর সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের মাঝে আগামী মাস থেকে ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়বে বলে সবাইকে সাবধানে থাকার আহবান জানিয়েছেন আশরাফুল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক বার্তায় আশরাফুল বলেন, ‘আসসালামু-আলাইকুম, ঈদ মোবারক সবাইকে। আশা করি সবাই ভালো আছেন। অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের ঈদটা একটু ব্যতিক্রম। অন্যান্যবার হয়তো আমরা একসাথে নামাজ পড়তে যেতাম, একসঙ্গে বিভিন্ন বাসায় বেড়াতে যেতাম। কিন্তু এবার আমরা সেই জিনিসটা করছি না। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে সেফ থাকার চেষ্টা করছি। বাসায় আছি সবাই, বাসায়ই থাকবো।
আজকে এই ঈদের দিনে আমার কাছে মনে হয়, আমাদের সামনে আরও একটা কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। করণ, আমরা গত চার-পাঁচ বছর দেখছি, বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ মারা গেছে। বিশেষ করে, গত বছর। সে ব্যাপারে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে।
এই ডেঙ্গুটা কিন্তু জুন-জুলাই মাসে, বৃষ্টির মৌসুমে হয়। ওই সময় যদি পানি জমে থাকে কোনো একটি জায়গায় বা ফুলের টব বলেন, ছাদ বলেন, বারান্দা, রান্নাঘরের আশপাশে। এসব জায়গায় পানি যখন জমে থাকে, তখন কিন্তু ডেঙ্গুর জন্মটা হয়ে থাকে।
তো আমি আশা করবো যে, এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদেরই চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আর ডেঙ্গুতে যদি কেউ আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের চিকিৎসাছাড়া কিন্তু কোনো উপায় নেই। তো সেই চিকিৎসা পাওয়া যাবে কি না, আমাদের সে চিন্তা করতে হবে। আমাদের এখন থেকে চিন্তা করা উচিৎ যে, আমরা যেন সচেতন থাকি এবং যেন আমাদের আশ-পাশে সবকিছু পরিস্কার রাখি, ডেঙ্গু থেকে যেন রেহাই পাই। এটা আমাদের এখন দায়িত্ব।
আশা করবো যে, আমরা সবাই যার যার বাসা, ছাদ, বারান্দা, আশপাশের সব কিছু যেন পরিস্কার রাখি এবং ডেঙ্গু থেকে যেন রেহাই পাই।
ঈদ মোবারক, সবাই বাসায় থাকবেন, সেফ থাকবেন। যদি বেরও হন, তাহলে যেন আমরা যেন মাস্ক পরি, দুরত্ব থাকি। আমরা যেন সচেতন হই। অথচ, আমরা নিজেরাই সচেতন না। বের হই, অথচ দেখা যায় যে সামাজিক দুরত্বের বিষয়টা ভুলে যাই। দেখা যাচ্ছে, পাশাপাশি গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছি, গায়ে লাগছে, খেয়াল নেই- এসব বিষয়গুলো আসলে নিজের থেকেই আসতে হবে।
যদি বের হন, মাস্ক পরবেন, হাতে গ্লাভস পরবেন, সামাজিক দুরত্ব রেখে বের হবেন। কাজছাড়া তো বের হওয়া উচিৎই নয়। যদি কাজের জন্য বের হন, তাহলে আমরা যেন এই জিনিসগুলো করি।
আর সবচেয়ে বড় যে, আজকের ঈদের দিনে আমার কাছে মনে হচ্ছে- আমাদের ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তা করা উচিত। কারণ সামনে জুন-জুলাই মাসে কিন্তু এই ডেঙ্গুটা জন্ম নিয়ে থাকে। সেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কিন্তু গত বছর প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছে। এটার চিকিৎসাছাড়া কোনো উপায়ও নেই। আর এই মুহূর্তে চিকিৎসা পাওয়াটাও কিন্তু মুশকিল। সাধারণ কোনো অসুস্থ মানুষ কিন্তু চিকিৎসা পাচ্ছে না ঠিকমত, করোনাভাইরাসের কারণে।
আশা করবো আমরা সবাই সচেতন হবো যার যার জায়গা থেকে। ভালো থাকবেন, ঈদ মোবারক।’