বাসস ক্রীড়া-৭ : নিজের সাফল্যের পিছনে এবাদতের বড় ভূমিকা দেখছেন রাহি

219

বাসস ক্রীড়া-৭
ক্রিকেট-রাহি
নিজের সাফল্যের পিছনে এবাদতের বড় ভূমিকা দেখছেন রাহি
ঢাকা, ২৩ মে ২০২০ (বাসস) : সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পাচ্ছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। তবে নিজের সাফল্যের পিছনে আরেক পেসার এবাদত হোসেনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে মনে করছেন রাহি। তিনি বলেন, সতীর্থ এবাদতের কঠোর পরিশ্রম বড় ফরম্যাটে তাকে উইকেট পেতে সহায়তা করছে।
টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পাবার জন্য যখন ভালো মানের পেসার প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের, তখনই দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রাহি।
বাসসকে রাহি বলেন, ‘আমি যদি টেস্ট ক্রিকেটে সফল হই, তবে এর জন্য কৃতিত্ব আমার বোলিং পার্টনার এবাদত হোসেনকেও দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘তিনি(এবাদত) এমন একজন বোলার, যার বোলিং আমাকে ভালো করার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তার প্রধান অস্ত্র গতি এবং প্রায়ই গতি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলে থাকেন তিনি। তার মতো গতি আমার নেই। এবাদতকে খেলার পরে, ব্যাটসম্যানরা আমরা বিপক্ষে ঝুঁকি নিচ্ছে, যা আমাকে উপকৃত করেছে। কখনও কখনও ব্যাটসম্যানরা দ্বিধায় পড়েন, এবাদতের গতির পর আমার কম গতি মুখোমুখি হতে হয় তাদের।’
মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ শুরুতে ঝলক দেখালেও অদারাবাহিকতার কারণে কেউই টেস্ট ফরম্যাটে নিজেদের সেভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। তাই দলে রাহির আগমনটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মত। টেস্টে একত্রে দীর্ঘ স্পেলে বোলিং করতে পারে এমন একটা পেস জুটি পাওয়ার চেস্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ ক্ষেত্রে তারা বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবাদত হোসেনকেই রাহির উপযুক্ত বোলিং জুটি হিসেবে পেয়েছে।
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট অভিষেক হয় এবাদতের। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার কারনে পুরোপুরি শেষ করা যায়নি সফরটি।
এখন পর্যন্ত ছয়টি টেস্টে জুটিবদ্ধ হয়ে খেলেছেন এবাদত ও রাহি, যা বাংলাদেশের টেস্ট বোলিং জুটির এক অনন্য রেকর্ড।
টিম ম্যানেজমেন্টের একটা বদ্ধ ধারনা ছিল- অন্তত টানা পাঁচটি এক সাথে খেলার পেস জুটি পাওয়া যাচ্ছেনা। কেননা লংগার ভার্সনে দেশের অনেক পেসারই খেলতে খুব বেশি ইচ্ছুক নন বলে ধারনা করা হচ্ছিল।
কিন্তু এবাদত-রাহি টিম ম্যানজমেন্টকে অন্তত এমন আস্থা যুগিয়েছে যে, টেস্টে সাফল্য অর্জনের দক্ষতা তাদের রয়েছে।
টানা ছয়টি টেস্ট খেলার পর রাহি বলেন, জুটিতে কিভাবে বল করতে হয় তারা সেটা জানেন।
রাহি বলেন, ‘ব্যাটিং জুটি সর্ম্পকে আমরা অনেক কিছু শুনেছি। ব্যাটিংএর মত বোলিংএও জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবাদতের প্রধান শক্তি হলো- গতি। তবে রাহি উইকেটের দু’পাশেই সুইং করতে পারদর্শী, অনেকটা ইংল্যান্ডের পেসার জেমস এন্ডারসনের মত।
নয় টেস্টে ২৪ উইকেট নিয়ে সাফল্যের প্রমান দিয়েছেন রাহি। কিন্তু এবাদত তেমনটা পারেননি। ৮৯ দশমিক ৩৩ গড়ে ছয় টেস্টে মাত্র ছয় উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা খুবই বাজে বোলিং গড়।
রাহি বলেন, ‘তার বলে গতি আছে, তাই ব্যাটসম্যানরা তাকে সাবধানে খেলেন। আমার যেহেতু গতি কম, তাই ব্যাটসম্যানরা আমাকে সহজে খেলার চেষ্টা করে এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, এর ফলে আমি অতিরিক্ত সুবিধা পাই।
কিন্তু কখনো কখনো ভাগ্যও এবাদতের পক্ষে থাকেনা। আমি তার বেশ কয়েকটি ভালো স্পেলের কথা মনে করতে পারি, যেখানে তিনি উইকেট পেতে পারতেন, কিন্তু ফিল্ডারদের ভুলের কারনে হয়নি, তাই উইকেট সংখ্যাও বাড়াতে পারেননি।’
বাসস/এএমটি/১৯০৫/স্বব