বাজিস-৮ : জয়পুরহাটে ১ দিনে ৮ জন আক্রান্তসহ মোট করোনা শনাক্ত ১৩০

117

বাজিস-৮
নোয়াখালী-করোনা
জয়পুরহাটে ১ দিনে ৮ জন আক্রান্তসহ মোট করোনা শনাক্ত ১৩০
জয়পুরহাট, ২৩ মে, ২০২০ (বাসস) : জেলায় নতুন করে আরও ৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরা হচ্ছেন সদরে ৪ জন ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ৪ জন। আজ সকালে সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বাসসকে বলেন, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ১৩০ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের কন্ট্রোল রুম সূত্র থেকে জানা গেছে,জেলায় এ পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ৪ হাজার ৫৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়ায় করোনাভাইরাস টেস্ট ল্যাবে পাঠানো হয়। রিপোর্টে ৩ হাজার ৬৮৬ জনের নেগেটিভ আসলেও ১৩০ জনের শরীরে রিপোর্ট পাওয়া যায় পজেটিভ। পাঠানো নমুনা থেকে বাতিল হয় ১৭টি ও এখনও বাকি রয়েছে ৬২৬ জনের।
জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩ হাজার ৫৬৬ জনের মধ্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে ২ হাজার ৮২ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছেন।
করোনা সন্দেহে এবং হোম কোয়ারেন্টাইন না মানা ১৮৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় যাদের মধ্যে ১৩৭ জনের করোনা নেগেটিভ ও কোয়ারেন্টাইন সম্পূর্ন হওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর মধ্যে রয়েছে- কালাই উপজেলায় ৪৬ জন, সদর উপজেলায় ২৭ জন, আক্কেলপুরে ২৩ জন, পাঁচবিবিতে ১৬ জন ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ১৮ জন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৩০ জন। করোনা শনাক্তদের স্থানিয় গোপীনাথপুর হেলথ অব টেকনোলজিতে স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে (যার নাম দেয়া হয়েছে সেফ অতিথিশালা) রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৩৩ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় বর্তমানে সরকারি ৪টি চিকিৎসা কেন্দ্রে ২৪০টি বেড করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় জেলায় ১৪ জন ডাক্তার ও ১৪ জন নার্স পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে ২ হাজার ১৭৩ সেট ও বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৪৬ সেট। করোনা শনাক্ত ব্যক্তির জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য ২টি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার হচ্ছে। চিকিৎসক ও সেবিকাদের চলাচলের জন্য ২টি গাড়ি এবং সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে ২টি মাইক্রোবাস জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগকে দেয়া হয়েছে। জেলায় ৩টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও ১টি আইসোলেশান সেন্টারের জন্য স্থানীয় তহবিলের অর্থায়নে ৫জন ল্যাব টেকনেশিয়ান, ১৪ জন আনসার, ৪ জন আয়া ও ৩ জন বেসরকারি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দাপুর গ্রামে প্রথম দুই করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত এখন জয়পুরহাট জেলায়।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬২৯/কেজিএ