বাসস দেশ-২৫ : চট্টগ্রাম মেডিকেলে ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড চালু

221

বাসস দেশ-২৫
চমেকে-করোনাওয়ার্ড
চট্টগ্রাম মেডিকেলে ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড চালু
চট্টগ্রাম, ২১ মে ২০২০ (বাসস) : করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় চমেক হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপরে সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ বিএমএ নেতাদের উপস্থিতিতে এই ওয়ার্ডের উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতলে ১০০ শয্যা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৩০ শয্যা নিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর চিকিৎসা। পরে সলীমপুরে বেসরকারি উদ্যোগে আরও ৪০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়।
করোনা ইউনিট চালু প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আফতাবুল ইসলাম বলেন, “চমেকে সব ধরনের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে পুরোই আলাদা ব্লকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৬ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চিঠি পেয়েছিল চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবজারভেশন সেলে থাকা তিন রোগী দিয়েই আমাদের করোনা ওয়াড্র্ চালু হয়েছে। এখন থেকে করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন।”
জানা যায়, হাসপাতালের নিচতলায় জরুরি বিভাগের পার্শ্ববর্তী তিনটি ওয়ার্ড (ক্যাজুয়াল্টি, ফিজিক্যাল মেডিসিন এবং চর্ম ও যৌন রোগ) এরই মধ্যে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে হাসপাতালের মূল প্রবেশ পথে (নিচতলার ন্যায্য মুল্যের ওষুধের দোকান থেকে জরুরি বিভাগ পর্যন্ত) বাম পাশের পুরো ব্লকটি করোনা ব্লক হিসেবে প্রস্তত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে উপপরিচালক আফতাবুল ইসলাম আরও বলেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া ৩০ জন চিকিৎসক ও ১৬৬ জন নার্স করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিবেন। নিয়োাগ পাওযা চিকিৎসক-নার্সরা রোস্টার ডিউটি অনুযায়ী কাজ করবে। মানে তাদেরকে কয়েকটা টিমে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম টিম দশদিন করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিবে। তারপর তারা ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যাবে। কোয়ারান্টাইন শেষে ৬ দিন তাদের পরিবারের সাথে সময় কাটাতে ছুটি পাবে। প্রথম টিম যাওয়ার পর দ্বিতীয় টিম করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিবে। এভাবেই চমেকে করোনা রোগীদের সেবা কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।
বাসস/জিই/কেএস/২০০০/কেসি