বাজিস-৪ : ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচরে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি

118

বাজিস-৪
আম্পান-নোয়াখালী
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচরে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি
নোয়াখালী, ২১ মে, ২০২০ (বাসস) : জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বেড়িবাঁধ, কাঁচাঘর, ফসলী জমি ও মাছের ঘের’র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সুখচর, নলচিরা, চরঈশ^র, তমরদ্দি ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে এবং দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় ৪০ টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুই শতাধিক কাঁচা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া, পঞ্চাশ একর জমির সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া, জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের আটটি মাছের ঘের ভেসে যায়।
তিনি আরও জানান, উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, নলচিরা ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার, চরঈশ^র ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার, তমরদ্দি ইউনিয়নের ২ কিলোমিটার ও চানন্দী ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার সহ প্রায় ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন বলেন, সুবর্ণচরে বিশটি কাঁচা ঘর সম্পূর্ন বিধ্বস্তÍ হয় এবং ছয়শত পঞ্চাশ হেক্টর জমির সবজি ও ফসলী জমি পানিতে ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা অলি উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব শেষ হওয়ায় সকালে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ তাদের নিজ নিজ বাড়ি-ঘরে ফিরে গেছে। হাতিয়ায় কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে এবং ভাটার সময় নেমে যায়। এর আগে, উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩২ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আগাম প্রস্তুতি থাকায় জেলায় কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১৪২০/কেজিএ