নোয়াখালীতে নতুন ৩৭ জনসহ করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ২২৭

269

নোয়াখালী, ২০ মে, ২০২০ (বাসস) : জেলার বেগমগঞ্জে ১৮, সদর ১০, চাটখিলে ৪, সেনবাগে ৪ ও হাতিয়ায় ১ জনসহ আরও ৩৭ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২২৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান আজ বেলা ১১ টায় বাসসকে বলেন, এনিয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১২৩ জনসহ জেলায় মোট ২২৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ১২৩ জন, সদরে ২৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৫ জন, হাতিয়ায় ৬ জন, চাটখিলে ২০ জন, কবিরহাটে ২০ জন, সেনবাগে ৭ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৫ জন ও সুবর্ণচর ৫ জন। এর মধ্যে, বেগমগঞ্জে ৭ জন, সদরে ৭, চাটখিল ৫, সোনাইমুড়ি ৩ জন, কবিরহাট ১ জন, হাতিয়ায় ৩ জন ও কোম্পানীগঞ্জ ১ জনসহ মোট ২৭ জন আইসোলেশন থেকে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। সোনাইমুড়িতে ২ জন, বেগমগঞ্জে ১ জন ও সেনবাগে ১ জনসহ মোট ৪ জন মারা গেছেন।
বর্তমানে বেগমগঞ্জে ১১৫ জন, সদর উপজেলায় ১৯ জন, কবিরহাটে ১৯ জন এবং চাটখিলে ১৫ জন, সোনাইমুড়ি ১১ জন, হাতিয়ায় ২ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৪ জন, সেনবাগ ৬ জন ও সুবর্ণচর ৫ জন সহ ১৯৬ জন শনাক্তকৃত রোগি রয়েছেন। এর মধ্যে, ১৭৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ও ১৮ জন জেলা কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, উপজেলায় ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলায় ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, উপজেলায় ৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, উপজেলায় ৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, উপজেলায় ১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, শনাক্তের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৭ জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ১২৩ জন, সদরে ২৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৫ জন, হাতিয়ায় ৬ জন, চাটখিলে ২০ জন, কবিরহাটে ২০ জন, সেনবাগে ৭ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৫ জন ও সুবর্ণচর ৫ জন। এদের মধ্যে, মারা যাওয়া ৪ জন হলেন, সোনাইমুড়ীর ইতালী প্রবাসী মোরশেদ আলম (৪৫) ও পৌরসভার রামপুর পূর্বপাড়া এলাকার ফখরুল ইসলাম (৬০), সেনবাগের রাজমিস্ত্রি মো. আলী আক্কাস (৪৫) ও বেগমগঞ্জের মো. তারেক (২৯) নামের এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী। এর মধ্যে, বেগমগঞ্জে ৭ জন, সদরে ৭, চাটখিল ৫, সোনাইমুড়ি ৩ জন, কবিরহাট ১ জন, হাতিয়ায় ৩ জন ও কোম্পানীগঞ্জ ১ জনসহ মোট ২৭ জন আইসোলেশনে থেকে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। তারা হলেন, সোনাইমুড়ি উপজেলার করোনায় মৃত ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলমের ৩ মাসের অন্ত;সত্বা স্ত্রী শারমীন আক্তার (৩০) সহ ৩ জন ও বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা সংলগ্ন আপন নিবাসে বসবাসরত মা খতিজা বেগম (৬০), ছেলে আমজাদ হোসেন টিপু (৩২), পৌরসভার ব্যবসায়ী মো. দুলাল (৫৯) ও হাজী বেলাল (৫৫) সহ ৭ জন, সদরের জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় মো. বেলাল (৩৭) ও নোয়ান্নই ইউনিয়নের নারায়নগঞ্জ ফেরত জাবেদ হোসেন (২৫) ও বান্দেরহাটের মো. দুলাল (৫০) সহ ৭ জন, চাটখিলের ব্যবসায়ী আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী (৪৯) ও ওষুধ কোম্পানী একমি ল্যাবরেটরিজ এর মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার কুড়িগ্রামের এরশাদুল হক (২৮), চাটখিল পৌরসভার বেলায়েত হোসেন (৪০), তার ছেলে রায়হান বিন বেলায়েত (৯) সহ ৫ জন, কবিরহাট উপজেলায় প্রথম আক্রান্ত বাটইয়া ইউনিয়নের ২০ বছরের যুবক ইউসুফ আলী; হাতিয়ার ৩ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রইচ উদ্দিন (৩৭), ইকবাল বাহার (২৮), বিমান কান্তি আচার্য (২৮) ও কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার জনতা ব্যাংকের গার্ড আবদুল মান্নান (৫৫)।