বাসস ক্রীড়া-১৩ : টেন্ডুলকারের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সুবিধা, আমার নড়াচড়ায় সুবিধা : কোহলি

134

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-কোহলি
টেন্ডুলকারের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সুবিধা, আমার নড়াচড়ায় সুবিধা : কোহলি
ঢাকা, ১৯ মে ২০২০ (বাসস) : ক্যারিয়ারের শুরুতে এক স্টাইলে ব্যাটিং করতেন ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পপিং ক্রিজে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতেন তিনি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তন করেছেন। ব্যাটিং করার সময়ে পা’য়ের নড়াচড়া বেশি করেন তিনি। স্টাইল পরিবর্তন করে বড় ধরনের সুবিধাও পেয়েছেন কিং কোহলি। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ি ফুটাচ্ছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। রান তাড়া করায় বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের তকমাটা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন কোহলি।
গতকাল রাতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের লাইভ শো’তে নিজের ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তনের কারন জানান কোহলি। অবশ্য প্রসংঙ্গটা তামিম নিজেই তুলেন।
তামিম বলেন, ‘আমি যখন প্রথম আপনার খেলা দেখি, তখন দেখেছি আপনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতেন। কিন্তু এখন আপনি সামনে-পেছনে গিয়ে খেলেন। পা’য়ের অনেক মুভমেন্ট করেন। আমি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলি। আমার সঙ্গে অনেক কোচ কথা বলেছে, আর পরামর্শ দিয়েছে পা’য়ের মুভমেন্ট করে সামনে-পেছনে গিয়ে খেলার চেষ্টা করার। তবে আমি সেভাবে খেলতে গেলে অস্বস্তি বোধ করি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কেন নিজের খেলার ধরনটা পরিবর্তন করলেন?
কোহলি বলেন, ‘আমার মনে হলো, আমাকে মাঠের সব জায়গায় খেলতে হবে। এভাবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেললে আমার খেলার শটস অনেক কমে যাবে। আমি পুরো মাঠকে ব্যবহার করতে পারবো না। তাই আমার মনে হয়েছে, আমার হিপ বেস্ট যদি ভালো পজিশনে থাকে, তাহলে আমি আমার পা যেকোনো সময় আগে বা পেছনে নিয়ে খেলতে পারবো। পরবর্তীতে আমি পা’য়ের মুভমেন্ট করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এ কারণে আমি মাঠের সব জায়গায় খেলতে পারছি।’
এরপর তামিম বলেন, ‘শচীন টেন্ডুলকার পুরো ক্যারিয়ারে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেছেন।’
সাথে-সাথে কোহলি বলেন, ‘এটা এমন নয়, সবাইকে সামনে-পেছনে গিয়ে খেলতে হবে। যে যেভাবে ভালো অনুভব করে। অনেকে দাঁড়িয়ে খেললেও সমস্যার অনুভব করেনি। যেমন টেন্ডুলকার এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেছেন সারাজীবন। তার খেলার ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। অনায়াসে রান তুলেছেন। তবে আমার নিজের জন্য মনে হয়েছে, আমার খেলার ধরনের সঙ্গে পায়ের নড়াচড়ার বিষয়টি আমার ভালো কাজে দিয়েছে।’
বাসস/এএমটি/১৯৪০/স্বব