ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্ততি, বন্দরে ‘অ্যালার্ট -২’ জারি

486

চট্টগ্রাম, ১৮ মে, ২০২০ (বাসস) : ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে জারি করা হয়েছে ‘অ্যালার্ট -২’ ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে উপকূলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম।সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষ যাতে আগেই নিরাপদ অবস্থানে সরে যায়, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় বৈঠক করা হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ৬ নম্বর সংকেত রয়েছে। তবে সন্ধ্যার দিকে এ সংকেত বাড়তে পারে। নৌযানসহ বড় বড় জাহাজগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ৬ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আঘাত হানলে এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ‘অ্যালার্ট -২’ জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাগর ক্রমে উত্তাল হয়ে ওঠায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে (লাইটার) পণ্য খালাস কমে আসছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ জাহাজ নিরাপদ অবস্থানে চলে যাচ্ছে। যেসব জাহাজের লাইটারিং কাজ শেষ পর্যায়ে এমন কয়েকটি জাহাজেই কেবল পণ্য খালাস চলছে। আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক সংকেত বাড়ালে সেগুলোও গভীর সাগরে চলে যাবে। আবহাওয়া অধিদফতর সংকেত বাড়ালে বন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট-৩ জারি করবে।
এছাড়াও জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বন্দরের নৌ ও পরিবহন বিভাগ দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।