বাসস দেশ-৩৫ : ডিএনসিসির অভিযানে ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা

215

বাসস দেশ-৩৫
ডিএনসিসি-জরিমানা
ডিএনসিসির অভিযানে ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১৭ মে, ২০২০ (বাসস) : এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বাড়ি ও স্থাপনা মালিকদের ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
নগরীর ৫টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭৪৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে এডিসের লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় আজ এসব জরিমানা করা হয়।
সকাল থেকে মশক নিধনে এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালিত হয়।
অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হালিম ও রোসলিনা পারভীনের নেতৃত্বে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে মোট ৭৪৮টি নির্মাণাধীন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় এই অঞ্চলে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এডিস মশার সকল প্রজননস্থলসমূহে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।
অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর ৬ নং ওয়ার্ডের মিরপুর সেকশন ৬ ব্লক-সি এর রোড ১-২০ এলাকার ৪৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৬টি ভবনে নোটিশ প্রদান করা হয় এবং অন্যদেরকে সতর্ক করা হয়। এছাড়া ২টি মামলায় ২জনকে মোট ৭হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর এলাকায় ১৭০টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে চিরুনি অভিযান চালিয়ে ১১টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এতে ৪টি মামলায় সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবংউক্ত সকল এডিস মশার প্রজননস্থলসমূহ ধবংস করা হয়।
অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাউড়া পাড়া ও শাহ আলীবাগ এলাকায় ৩১০টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাদেরকে সতর্ক করে সেসব স্থানে কীটনাশক স্প্রে করা হয় তবে কোন জরিমানা করা হয়নি।
অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয় মোহাম্মদপুরের আসাদগেইট এলাকায়। এসময়ে মোট ৬৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাদেরকে পরবর্তীতে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান ও উক্ত স্পটসমূহ ধবংসপূর্বক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ ভাটারা, সুতিভোলা, নূরেরচালা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া। এসময়ে তিনি ১১টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। বাসা বাড়িতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ময়লা আবর্জনা থাকায় কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থথলসমূহ ধবংসপূর্বক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলমান চিরুনি অভিযানসহ ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গত ১০মে থেকে পরিচালিত অভিযানে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২০৪০/স্বব