বাসস ক্রীড়া-৪ : ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ অস্বীকার করলো ভিয়ারেল-গেতাফে

99

বাসস ক্রীড়া-৪
ফুটবল-লা লিগা
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ অস্বীকার করলো ভিয়ারেল-গেতাফে
মাদ্রিদ, ১৬ মে ২০২০ (বাসস) : গত বছর লা লিগায় ২-২ গোলর ড্র হওয়া ম্যাচটি নিয়ে স্প্যানিশ দুই ক্লাব ভিয়ারেল ও গেতাফের বিপক্ষে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুক্রবার ম্যাচ পাতানোর যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা অস্বীকার করেছে উভয় ক্লাবই।
এ সম্পর্কে ক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভিয়ারেলের বিপক্ষে যে অভিযোগ উঠেছে তা ক্লাবের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখান করা হচ্ছে। গত মৌসুমের শেষ দিনে গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর সাথে ভিয়ারেলের কোন সম্পর্ক নেই। লিগের বেশ কয়েকটি মৌসুমেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা, নীতি, গুরুত্ব ও ফেয়ার প্লে’র আদর্শ নষ্ট হয় এমন কোন কাজের সাথে ভিয়ারেল কখনই আপোষ করেনি।’
গেতাফের পক্ষ থেকেও এই ধরনের ঘটনার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত না হবার বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
স্প্যানিশ দৈনিক এল পেইসে বলা হয়েছে গত বছর বিভিন্ন ম্যাচের সাথে ফিক্সিংয়ের দায়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। লা লিগাও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে তারা এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষ না পর্যন্ত বিষয়টি তারা জনসমুক্ষে আনতে চাচ্ছেনা।
ইউরোপের এলিট প্রতিযোগিতায চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জণ করতে হলে গেতাফেকে অবশ্যই শেষ ম্যাচে ভিয়ারেলকে পরাজিত করতে হতো। আর জিততে পারলেই তারা ভ্যালেন্সিয়াকে পিছনে ফেলে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করতো। ভিয়ারেলের অবশ্য এই ম্যাচে জয়-পরাজয় কোন অর্থ বহন করত না। ঐ একইদিন ভ্যালেন্সিয়া ২-০ গোলে রিয়াল ভায়াদোলিদকে পরাজিত করে। আর সে কারনেই ভিয়ারেলকে পরাজিত করলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর খেলার সুযোগ ছিল না গেতাফের।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে ম্যাচ পাতনোর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত মাসে ওসাসুনার পাঁচজন পরিচালক ও রিয়াল বেটিসের সাবেক দুই খেলোয়াড়কে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। স্প্যানিশ ফুটবলে এই প্রথম দূর্নীতির দায়ে কাউকে শাস্তি প্রদান করা হলো।
বাসস/নীহা/১৮১০/স্বব