বাসস দেশ-৩৪ : পদ্মাসেতুর স্প্যানের মালামালের শেষ চীনা চালানের যাত্রা শুরু

199

বাসস দেশ-৩৪
পদ্মা সেতু- চালান
পদ্মাসেতুর স্প্যানের মালামালের শেষ চীনা চালানের যাত্রা শুরু
মুন্সীগঞ্জ, ১৪ মে, ২০২০ (বাসস) : পদ্মাসেতুর স্প্যানের মালামালের শেষ চীনা চালান যাত্রা শুরু করেছে। শিনহোয়াংদাও বন্দর হতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫ টায় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে সমুদ্র পথে জাহাজটি রওনা হয়েছে।
চীনা পতাকাবাহী এমভি কং সিউ সং জাহাজ মূল সেতুর মালামালহুলো বহন করছে। এ চালানটি দেশে পৌঁছালে সেতুর সকল মালামাল বাংলাদেশে আসা সম্পূর্ণ হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সেতুর সর্বশেষ এ মালামাল সমূহ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে আনার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছিল। কিন্তু চীনের উহানে ভয়ানক করোনাভাইরাসের সংক্রামণে জানুয়ারি ও ফেব্রয়ারি মাসে স্প্যানের মালামাল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এপ্রিলের শেষের দিক থেকে আবার ফ্যাক্টরি খুললে চলতি মে এর শেষ দিকে স্প্যানগুলোর কম্পোনেন্ট তৈরি কাজ শেষ হয়।
জানা গেছে এম ভি কং সিউ সং জাহাজে সেতুর ১৮০টি ট্রাস কম্পোনেন্টসহ ২০৪১টি স্ট্রীলের তৈরি বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। সেতুর সর্বশেষ মালামাল পরিবহনের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক কসকো শিপিং লাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটি সাংহাই ও সিঙ্গাপুর পোর্টে ৭ দিন বিরতি (মালামাল লোড/আনলোড) দিয়ে ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ ও ক্লিয়ারেন্স এর পর মংলা হয়ে ১৫ জুন চালানটি মাওয়া এসে পৌঁছার কথা রয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান রয়েছে। প্রতিটি স্প্যানে ১১০-১১৮ টি স্টীলের ট্রাস কম্পোনেন্ট (কর্ড, মেম্বার বা নোড) এর সমন্বয়ে তৈরি ট্রাস। মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানে সর্বমোট ৪৫৮৭ স্ট্রীলের ট্রাস কম্পোনেন্ট প্রয়োজন হবে। ৪৫৮৭টি স্টীলের ট্রাস কম্পোনেন্ট মূল সেতুর স্প্যান (স্কলিটন) তৈরি করবে। তাছাড়াও রেলওয়ের জন্য ১৩১২টি স্টীলের স্ট্রিনজার বিম, ২৬২৪টি স্টীলের রেলওয়ে সাপোর্ট ব্রাকেট, ১৩১২টি স্টীলের রেলওয়ে স্প্যাব ব্রাকেট, ৮২১৪ টি গ্যান্ট্রি মেইনটেনান্স ব্রাকেট, ১৩৪৬টি গ্যাস পাইপ লাইন ব্রাকেট, ৯৩০টি হ্যাচ কভার, ৯১০টি এ্যাকসেস ল্যাডার, ৪৮টি ট্রান্সভার্স শেয়ার কি, ২১টি গ্যাস পাইপ লাইন লুপ, ১৩১২টি ওভারহেড ক্রেন স্টীলের গার্ডার প্রয়োজন হবে।
পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি এখন ৭৯ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতু বেশী এগিয়ে। মূল সেতুর অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
বাসস/সংবাদদাতা/কেসি/২১৪০/স্বব