বাসস ক্রীড়া-৮ : ভারতের ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি রুপি

119

বাসস ক্রীড়া-৮
ক্রিকেট-আইপিএল
ভারতের ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি রুপি
নয়াদিল্লি, ১৩ মে ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে ভেস্তে যাবার অবস্থায় বিশ্ব ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যদি, তাই হয় তবে ভারতের ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি রুপি। এমনটাই শঙ্কা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল জানান, আইপিএল না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বোর্ডের।
তিনি বলেন, ‘আইপিএল নিয়ে প্রতিদিনই আমাদের ভাবতে হচ্ছে। এটি না হলে, বিসিসিআই বড় অঙ্কের রাজস্ব হারানোর শঙ্কায় পড়বে। আইপিএল না হলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হবে চার হাজার কোটি রুপির কাছাকাছি বা আরও বেশি।’
চলতি বছর আইপিএল আয়োজন করা যাবে কি-না তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না ধুমাল। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত নই, এবার টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা। প্রতিদিনই আমাদের কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’
গত ২৯ মার্চ থেকে এবারের আইপিএল শুরুর নির্ধারিত সময় ছিলো। কিন্তু মার্চ মাস থেকে ভারতে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে আইপিএল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্থগিত করে দেয় বিসিসিআই। পরবর্তীতে ভারতে লকডাউন ঘোষনা করে ভারতীয় সরকার।
মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজ স্থগিত হয়।
আইপিএল না হলে শুধু বোর্ডের নয়, ক্রিকেটার- ব্রডকাস্টারদেরও বড় ক্ষতি হবে বলে জানান ধুমাল। তিনি বলেন, ‘বোর্ড তো বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। বড় ধরণের ধাক্কা খেতে হবে বিসিসিআইকে। পাশাপাশি ক্ষতি হবে ক্রিকেটারদেরও। আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে বড় ক্ষতি ব্রডকাস্টারদের হবে। পাঁচ বছরের জন্য ২২ কোটি ডলারে টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্ব পেয়েছে স্টার স্পোর্টস। আর ১৩তম আসর থেকে তারা সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছিলো ৪০ কোটি ডলার। কিন্তু এখন সবকিছুই হুমকির মুখে। আমরাও কোন সমাধান বের করতে পারছি না। কারন পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে নয়। তবে আমরা ভালো সময়ের অপেক্ষায় আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে ছোট করে হলেও, এ বছরই আইপিএল আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।’
ভারত অন্য অনেক দেশের মতো নিজ দেশে ক্রিকেট ফেরাতে চাইছে। তবে সবুজ সংকেত হিসেবে তাদের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বলে জানান ধুমাল। তিনি বলেন, ‘সরকার সিদ্বান্ত না দিলে আমরা কোন চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নিতে পারবো না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, সরকারই সবকিছুর জন্য সবুজ সংকেত দিবে, তখন আমরা ক্রিকেট নিয়েই বেশি ব্যস্ত হবো।’
বাসস/এএমটি/১৭২৫/স্বব