দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০ ও ২১ জুলাই

548

ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরো বিকশিত এবং কিশোর-তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে আগামী ২০ ও ২১ জুলাই সারাদেশে সাংস্কৃতিক উৎসব করবে সরকার।
জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উৎসব উদযাপন করবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের (পিআউডি) সম্মেলন কক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান নূর জানান, সাংস্কৃতিক উৎসব পালনে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’ আয়োজন কমিটি গঠন করে আয়োজনের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক উৎসব হবে জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, যেসব জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেসব বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।
উৎসবে স্থানীয় শিল্পীরা রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, পল্লীগীতি, লালনগীতি, লোকগীতি, আঞ্চলিক গান, জারি, সারি, মুর্শিদী গান ছাড়াও আঞ্চলিক গান পরিবেশন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সরকারের জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও তথ্যচিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সাংস্কৃতিক উৎসব সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরও বিকশিত হবে এবং কিশোর-তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হবে।
তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই দিনব্যাপী ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’ আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগসমূহ- একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষার ওপর নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।