বাজিস-৩ : পিরোজপুরে ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে

178

বাজিস-৩
পিরোজপুর-ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র
পিরোজপুরে ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে
পিরোজপুর, ১৮ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : চলতি অর্থবছরেই উপ-কূলীয় জেলা পিরোজপুরে নতুন করে আরও ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় অর্ধ লাখ নারী পুরুষ শিশু আশ্রয় নিতে পারবে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আলোর জন্য সোলার সিস্টেম, খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকছে।
এছাড়া দুর্যোগ বিহীন সময় এসব ভবনে বিদ্যালয় পরিচালিত হবে। ৩ তলা কোনটি ৪ তলা এসব ভবনের নিচে দুর্যোগ চলাকালীন সময় স্থানীয়দের গবাদিপশু রাখার সুব্যাবস্থাও করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এসব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সমাপ্ত হবে বলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জণ রায় বাসসকে জানান।
জেলার সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা বঙ্গোপসাগরের কাছাকছি অবস্থিত মঠবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশী ২২টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়া জেলার অন্য ৬ উপজেলায়ও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এপর্যন্ত এ জেলায় প্রায় ৩ শত ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে ১শত ১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে ৬টি সুউচ্চ মাটির কেল্লা নির্মাণ করেছে।
এছাড়া প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সড়ক ও তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত কমিটি এসব আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের স্থান চূড়ান্ত করে থাকে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ বাচ্চু আকন জানান ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সুপার সাইক্লোন সিডর এর তান্ডবে এ জেলায় ৬ শতাধিক মানুষের করুন মৃত্যু এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল, ঘরবাড়ি, গাছপালা, মাঠের ফসল, গবাদিপশু সবকিছু মাত্র কয়েক ঘন্টার ঝড়ে ও জলোচ্ছাসে শেষ হয়েছিল। সে সময় প্রয়োজন অনুযায়ী আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় এসব প্রাণহানী ঘটে। এখন বর্তমান সরকার পর্যাপ্ত সংখ্যক আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করায় প্রাণ ও সম্পদ হানীর ঘটনা আর ঘটবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/রপা/১৩৩৫/নূসী