বাসস দেশ-১৯ : কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে

161

বাসস দেশ-১৯
কাঁচাবাজার-পণ্যমূল্য
কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে
॥ওবায়দুল গনি॥
ঢাকা, ৭ মে, ২০২০ (বাসস) : কোভিড-১৯ মহামারির কারণে লকডাউন সত্ত্বেও জরুরি পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক এবং তদারকির সুবাদে রাজধানীসহ অন্যান্য প্রধান নগরীর কাঁচাবাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে চাল, ডিম ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
ভোক্তা এবং বাজার তদারককারীরা বলেছেন, নগরীর মার্কেটগুলোতে আমদানিকৃত আদা, রসুন, খেজুর এবং ছোলার মূল্য নি¤œমুখী রয়েছে। পাশাপাশি সয়াবিন, পাম এবং সুপার পাম অয়েলসহ সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম কমেছে।
বাজার তদারকিতে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত সপ্তাহে রিপোর্ট করেছে যে, মধ্যম মানের চাল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং মোটা চাল ৪২ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
মিরপুর রূপনগর এলাকার শেখ জেনারেল স্টোরের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, মধ্যম মানের বিআর-২৮ এবং আমদানিকৃত মোটা জাতের ‘গুটি স্বর্ণা’ প্রতি কেজিতে আগের সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। অনেক ক্রেতা আশা করছেন, নতুন তোলা ফসল বাজারে আসা শুরু করলে আসছে দিনগুলোতে চালের মূল্য আরো কমবে।
রাইস আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীরদ বরন সাহা বলেছেন, সব ধরনে চালের মূল্য কেজি প্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা কমেছে।
টিসিবি’র মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভোজ্য তেলের দাম ৮.৭৮ শতাংশ, আদা ৯.৬৮ শতাংশ, ছোলা ৬.৭৫ শতাংশ, আমদানিকৃত রসুন ৬.৬৭ শতাংশ ,ডিম ১.৮২ শতাংশ এবং খেজুরের দাম ৫.৪৫ শতাংশ কমেছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাসসকে বলেন, ‘চালের মূল্য বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই, মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ ধান তোলা হয়েছে, এতেই চালের দাম নি¤œমুখী হয়েছে।’
তিনি বলেন, আরো বেশি ফসল তোলা হলে চালের দাম আরো কমবে।
মজুমদার বলেন, সরকার পাশাপাশি বিশেষত দরিদ্রদের জন্য বিশেষ খোলা বাজার (ওএমএস)- এর মাধ্যমে প্রতি কেজি ১০ টাকায় চাল বিক্রয় করছে।
এখান থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখানোর পরে প্রতি ব্যক্তি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। প্রতিদিন ঢাকা প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৩ টন ঢাকার বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রে ২টন চাল বরাদ্দ রয়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ইতিমধ্যে প্রতি লিটার লুজ সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৯৩ থেকে ৯৫ টাকা থেকে কমে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা এবং পাম ওয়েল ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা থেকে কমে ৬৫-৭০ টাকা থেকে কম বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, গত এক মাসে কিচেন মার্কেটে কিছু মশলার দাম যেমন পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ, হলুদ, জিরা, এলাচ, ধনিয়া এবং সব ধরণের মসুর ডাল এবং মুগ ডালের দাম বেড়েছে।
মৌলভীবাজার ব্যবাসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলানা বলেন, ‘দেশে বর্তমানে আমদানিকৃত পণ্যের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত রয়েছে কাজেই উদ্বিগ্ন হওয়ার হওয়ার কিছু নেই।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, তারা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে একটি অব্যাহতভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহাপরিচালক বাবুল কুমার সাহা বাসসকে বলেন, ‘আমরা সারাদেশেই পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই অভিযান পরিচালনা করছি। সে কারণেই দেশে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
বাসস/এসপিএল/ওজি/এমএবি/১৯৩৫/-আরজি