বাসস ক্রীড়া-৮ : আগামী ৯ তারিখ রাতে নিলামে উঠছে মুন্নার জার্সি

112

বাসস ক্রীড়া-৮
ফুটবল-মুন্না
আগামী ৯ তারিখ রাতে নিলামে উঠছে মুন্নার জার্সি
ঢাকা, ৬ মে ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ে অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এলেন বাংলাদেশের ফুটবলের কিংবদন্তি মোনেম মুন্নার পরিবার। দেশের হয়ে খেলা, মুন্নার জার্সি নিলামে তোলার সিদ্বান্ত নিয়েছেন প্রয়াত এ কিংবদন্তির স্ত্রী ইয়াসমিন মোনেম সুরভী।
তাই আগামী ৯ তারিখে রাত ১০টা ৩০মিনিটে ফেসবুক পেইজ অঁপঃরড়হ ৪ অপঃরড়হ থেকে নিলামে উঠবে মুন্নার জার্সি।
১৯৬৮ সালের ৯ জুন জন্ম নেয়া মুন্নার ছিল অসাধারন ফুটবল ক্যারিয়ার । ১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার ডিভিশনের দল গুলশান ক্লাব দিয়ে পেশাদার ফুটবল শুরু করেন মুন্না। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন হয়ে যান মুন্না। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী লিমিটেড ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
১৯৮৭ সালে আবাহনীতে যোগ দেন মুন্না। আর ১৯৯২ সালে আবাহনীর হয়ে খেলতে ২০ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন মুন্না। যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রেকর্ডের জন্ম দিয়েছিলো। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে আবাহনীর ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি।
দেশের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ১৯৯১-৯২ সালে কোলকাতার ইস্ট বেঙ্গল দলেও খেলেছেন মুন্না।
১৯৮৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান মুন্না। ১৯৯৭ সালে খেলাকে বিদায় বলেন তিনি।
১৯৯৫ সালে মুন্নার নেতৃত্বে মায়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের বাইরে প্রথম কোন ট্রফি জয়ের নজির গড়ে বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান মুন্না। সেখানে কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে তার। ২০০০ সালের মার্চে ব্যাঙ্গালোরে বোন শামসুন নাহার আইভীর কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর সুস্থ হন তিনি।
কিন্তু ২০০৪ সালে মুন্নার দেহে ক্ষতিকারক ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি গুরুতর অবস্থায় মুন্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহ পর ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন মুন্না।
বাসস/এএমটি/১৭৫২/স্বব