টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মেরও ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে : অর্থমন্ত্রী

226

ঢাকা,১৭ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মের জন্যেও ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি বিশ্বের অ-নবায়নযোগ্য সম্পদের ব্যবহারে আরো সতর্ক হওয়ার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,‘উন্নয়নকে টেকসই করতে এসকল প্রাকৃতিক সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মও যাতে ব্যবহারের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এএমএ মুহিত গত ১৬ জুলাই নিউইয়র্কের মিলেনিয়াম হিলটন হোটেলে বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উত্তরণের লক্ষ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পথ নির্বিঘ্ন করতে স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে সহযোগিতা প্রদান’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে মূল বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের চলতি হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামে (এইচএলপিএফ) বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের এক পর্যায়ে ১৬ জুলাই এই সাইড-ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ যখন বাংলাদেশকে এলডিসিভুক্ত করে তখন বাংলাদেশে ছিল নানা ধরনের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা-সেই প্রেক্ষাপট থেকে আজকের অবস্থানে আসতে কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ-সেবিষয়েও অর্থমন্ত্রী কী নোট স্পিচে তুলে ধরেন।

এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটি নির্ভর করে সে দেশের সরকারের সদিচ্ছার ওপর। এক্ষেত্রে এবছর মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশন ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করার সাফল্যগাঁথার উদাহরণ টানেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘ নিজস্ব সীমিত সম্পদ, তহবিল ও কলাকৌশল ব্যবহার করে এবং জনগণকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের দিকে আমরা পা বাড়িয়েছি । আমরা জাতিসংঘ প্রদত্ত গ্রাজুয়েশন ক্রাইটেরিয়া প্রথমবারের মতো পূর্ণ করেছি’। এটি স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য উদাহরণ হতে পারে মর্মে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জসহ বাংলাদেশের মতো উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ এএমএ মুহিত উত্তরণ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম, ইউএনডিপি’র এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ও জাতিসংঘের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিয়াং ঝু, জাতিসংঘের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি কাভে জাহেদি, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’র (সিডিপি) প্রধান রোনাল্ড মল্লিরুস্ ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং স্বল্পোন্নত, ভূবেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেকিতামোইলোয়া কাতোয়া ইউতোইকামানু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।