লকডাউন কতদিন থাকবে সে ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

348

ঢাকা, ৫ মে, ২০২০ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশব্যাপি চলমান লক ডাউন খোলার ব্যাপারে ১৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত করোনা টেকনিক্যাল কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
তিনি বলেন, একই সাথে ঈদে শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে কিনা সে ব্যাপারেও কমিটি সরকারকে পরমার্শ দেবে। দেশের এই উচ্চ শ্রেণির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা টেকনিক্যাল কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি, চিকিৎসকদের পিপিই ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা, দেশে মা ও শিশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসা সেবা রাখা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বয় বৃদ্ধি করাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন বলে ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
সভায় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি নন-কোভিট রোগীদের যাতে ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। নন-কোভিট হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, টেস্টিং-এ বেশি সময় নষ্ট না করা, প্রথম টেস্টিং এ আক্রান্ত ব্যক্তির নেগেটিভ ফলাফল এলে তাকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করতে সময় ক্ষেপন হয় এবং বেড অকুপেশন থাকে বলেও টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি জানান।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এবং এর প্রেক্ষিতে উদ্ভত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে সভাপতি ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়।
ব্রিফিং শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রতিজনকে একসেট করে পিপিই প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সদস্যবৃন্দ।