লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে ইউরোপ-আমেরিকা

178
Employees of a mortuary house move a coffin at a crematorium in the Xochimilco neighborhood, in Mexico on May 4, 2020, amid the new COVID-19 coronavirus pandemic. (Photo by PEDRO PARDO / AFP)

ওয়াশিংটন, ৫ মে, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিশ্বব্যাপী সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে, এদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। এই উভয় অঞ্চল ধীরে ধীরে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসছে এবং বিশ্বনেতারা ভ্যাকসিনের উদ্ভাবনের জন্য বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত হিসাব সমন্বয় করে এএফপি জানায়, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইউরোপ মহাদেশে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৮ হাজার ৭০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে যা একত্রে বিশ্বের মোট মৃত্যুর ৮৫ শতাংশ।
ওয়াশিংটনে সরকারের অভ্যন্তরীণ হিসাবে এই মৃত্যুর সংখ্যা আরো ভয়ংকর বৃদ্ধিও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে বলা হয়, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা মে মাসের শেষ নাগাদ দ্বিগুণ হতে পারে।
ইউরোপের সরকারগুলো মনে করে প্রায় দু’মাস ধরে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পরে তারা করোনা মহামারির পিক অতিক্রম করেছে, এবং মৃত্যু ও সংক্রমণ কমে আসছে।
ইতালিতে আংশিকভাবে রেস্তোরা খুলে দেয়া হয়েছে এবং জার্মানিতে লকডাউন থেকে বেড়িয়ে লোকরা চুল ছাঁট দিতে সেলুনে ভিড় করছে।
গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে করোনা ছড়িয়ে পরার পরে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৩ টি দেশ ও ভূখন্ডে করোনায় প্রায় ৩৬ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে। রাশিয়ায় এখন দৈনিক ১০ হাজারের বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে, যে কোন দেশের চেয়ে ভয়ংকর আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ১৫ জন মারা গেছে। এই সংখ্যা এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এক অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, জুনের ১ তারিখ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দৈনিক ৮ গুণ বেড়ে ২ লাখে এবং দৈনিক মৃত্যু ১,০০০-২,০০০ থেকে বেড়ে ৩ হাজারে দাঁড়াতে পারে।
নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এই রিপোর্টে বলা হয়, আগামী কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এখন এই সংখ্যা ৬৯ হাজারের বেশি।
করোনার বিস্তার থামাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ভ্যাকসিন তৈরি ও উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র ৭.৪ বিলিয়ন ইউরো দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিল এন্ড ম্যালিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ জাপান, কানাডা, ইউরোপীয় শক্তিশালী দেশগুলো ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে সামিল হয়েছে।