বাসস দেশ-৪ : পদ্মা সেতুর ২৯তম স্প্যান বসেছে, দৃশ্যমান ৪৩৫০মিটার

141

বাসস দেশ-৪
পদ্মা সেতু-স্প্যান
পদ্মা সেতুর ২৯তম স্প্যান বসেছে, দৃশ্যমান ৪৩৫০ মিটার
মুন্সীগঞ্জ, ৪ মে, ২০২০ (বাসস): পদ্মা সেতুর ২৯তম স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। আজ সকালে মাওয়া অংশের ১৯ ও ২০তম খুঁটির উপর বসিয়ে দেয়া হয় ‘৪এ’ নম্বর স্প্যানটি। ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে এই সেতু অগ্রগতির আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সকাল থেকেই স্প্যানটি পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে এরপর খুঁটির উপর তুলে দেয়া হয়। যখন খুঁটিতে পুরোপুরি স্প্যানটি সেট হয়ে যায়, তখন ঘড়ির কাঁটায় পৌনে সকাল ১১টা। করোনা মহামারীর কারণে চারিদিক স্তব্ধ। এরই মধ্যে গ্রীস্মের রোদ্রকরোজ্জ্বল সকালের স্প্যান উঠে যাওয়ার ক্ষণটি ছিল বেশ আকর্ষণীয়।
তিনি বলেন, পদ্মা এখন আগাম বর্ষার পানিতে টলটল করছে। চারিদিকে প্রকৃতিতেও সতেজ অবস্থা। এরই মধ্যে বিশাল ভারি ভারি যন্ত্রপাতির সমাবেশ আর শব্দহীন বিশেষ এক ছন্দে বিশাল স্প্যানটি বসে যায়। মাওয়া থেকেই এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল।
তিনি জানান, এর আগে রোববার সকাল ৮টার দিকে স্প্যানটিকে মাওয়ার কাছে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে খুঁটির সামনে রাখা হয়। আজ সকাল ৭টা থেকেই স্প্যানটিকে পিলারের উপর বসানোর কাজ শুরু হয়।
সোমবার ২৯তম স্প্যান স্থাপন ছাড়াও করোনার মধ্যেই গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭তম ¯প্যান এবং ১২ এপ্রিল ২৮তম স্প্যান খুঁটিতে উঠে। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর খুঁটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব খুঁটি স¤পন্ন হয়ে গেছে। ভিত স¤পন্ন হয়ে এবং অনবরত স্প্যান বসে যাওয়ায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে বড় ধাপগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চলতি মাসেই ৩০তম ¯প্যানও বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। বসানো ¯প্যানগুলোতে হরদম কাজ চলছে। এখানে এখনও দেশী বিদেশী প্রায় দু’হাজার কর্মী কাজ করছে।
মোট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যওে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।
বাসস/সংবাদদাতা/কেসি/১৩২৭/এবিএইচ/আরজি