বাজিস-৩ : হবিগঞ্জে জাহির এমপি’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, দরিদ্ররা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ওএমএস’র চাল

119

বাজিস-৩
ব্যতিক্রমী-উদ্যোগ
হবিগঞ্জে জাহির এমপি’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, দরিদ্ররা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ওএমএস’র চাল
হবিগঞ্জ, ৪ মে, ২০২০ (বাসস) : জেলা শহরের শায়েস্তানগর এলাকার দরিদ্র গৃহবধু জহুরা বেগম একজন ওএমএস’র কার্ডধারী। তিনি আসেন শায়েস্তানগর বাজারে ডিলারের কাছে। দীর্ঘ লাইন শেষে যখন তাকে ১০ কেজি চাল তার ব্যাগে তুলে দেয়া হল, তখন তিনি ১০০টাকা বের করে দেন ডিলার এম জি এম সেলিমের হাতে। কিন্তু অবাক করে দিয়ে ডিলার সেই টাকা না নিয়ে ফেরত দিয়ে বলেন- ‘টাকা লাগবে না, আপনাদের টাকা এমপি মো. আবু জাহির দিয়ে দিয়েছেন’।
জহুরা বেগমের মত হবিগঞ্জ শহরের বিশেষ ওএমএস কার্ডধার সাড়ে ৯ হাজার দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ১০ টাকা কেজির সরকারি চাল নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মো. আবু জাহির। চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েছে।
গতকাল হবিগঞ্জ শহরের ৫টি পয়েন্টে বিশেষ ওএমএস কার্ডদারীদের পক্ষে ডিলারদের হাতে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চালের টাকা পরিশোধ করেন এমপি মো. আবু জাহির। পুরো রমজান মাস জুড়েই এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, হবিগঞ্জ পৌরসভায় ৯ হাজার ৬০০ জন বিশেষ ওএমএস কার্ডদারী রয়েছেন। যারা প্রতিমাসে ১০ টাকা কেজি দরে ২ মেয়াদে পাচ্ছেন ২০ কেজি করে চাল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন থাকায় এই অল্প টাকা দিতেও বিপাকে পড়েন। বিষয়টি অবগত হয়ে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন এমপি আবু জাহির।
গতকাল তিনি ২ হাজার বিশেষ ওএমএস কার্ডধারীর পক্ষে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন ডিলারদেরকে। আগামীকাল মঙ্গলবার আরো ২ হাজার লোকের টাকা পরিশোধ করবেন তিনি। এছাড়া অন্যান্য বছর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রমজানে ইফতারের আয়োজন করলেও এবছর তা না করে আগামী বৃহস্পতিবার আরো ২ হাজার কার্ডদারীর জন্য এ টাকাও দেয়া হবে। তিনি জানান, এর পরে বাকি কার্ডদারীদের টাকা পরিশোধ করবেন হবিগঞ্জ পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ।
শায়েস্তানগর এলাকার ডিলার এম জি এম সেলিম জানান, তিনি রবিবার ৪০০ কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিতরণ করেছেন। সবাই বিনামূল্যে চাল পেয়ে আনন্দিত।
চাল নিতে আসা মাছুলিয়া এলাকার সঞ্জব আলী ও অনন্তপুর এলাকার আনিছ মিয়াও বিনামূল্যে চাল পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
এমপি আবু জাহিরের এই উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, করোনা সংকটে একজন সংসদ সদস্যের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। করোনা সংকটের শুরু থেকেই লোকজনকে ঘওে ফেরোনোর জন্য ভোর হতে রাত পর্যন্ত হ্যান্ডমাইক হতে নিয়ে হবিগঞ্জের ৩টি উপজেলায় তাকে প্রচারণা চালাতে এবং ত্রাণ বিতরণ করতে দেখেছি। জাতির এ দূর্যোগে একজন জনপ্রতিনিধিকে সংকটে এভাবে জনগণ তাদের পাশে পেলে মোকাবেলায় মনোবলও দৃঢ় হয়।
এ ব্যাপারে এমপি আবু জাহির বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশে রয়েছেন। চালু করেছেন বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিতরণও। কিন্তু হবিগঞ্জ শহরের কর্মহীন মানুষরা সেই টাকা পরিশোধ করতে কষ্ট হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি অস্বচ্ছল লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩১০/কেজিএ