বাসস দেশ-১৪ : জয়পুরহাটে আইসোলেশন থেকে ৩৪ রোগীকে ছাড় দেয়া হয়েছে

122

বাসস দেশ-১৪
জয়পুরহাট-আইসোলেশন
জয়পুরহাটে আইসোলেশন থেকে ৩৪ রোগীকে ছাড় দেয়া হয়েছে
জয়পুরহাট, ৩ মে, ২০২০ (বাসস) : জয়পুরহাটে সুস্থ হওয়ার পর আইসোলেশনে থাকা ৩৪ জনকে ছাড় দেয়া হয়েছে এবং বর্তমানে আরো ৩১ জন আইসোলেশনে চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। জেলায় ৬৫ জন কে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিলো। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিয়া আজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, করোনা সন্দেহে স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬ শ ৬২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর), রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) এবং বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরমধ্যে ১ হাজার ৪৫ জনের পরিক্ষার ফলাফল পাওয়া যায় । এর মধ্যে ৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং ৬টি নমুনা বাতিল করা হয়। বর্তমানে পেন্ডিং নমুনার সংখ্যা ৬১৭।
শরীরে করোনা ভাইরাস সন্দেহে স্বাস্থ্য বিভাগ জেলায় কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে মোট ২ হাজার ১৪৩ জনকে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় ছাড় দেয়া হয়েছে ৮০৯ জনকে। বর্তমানে ১ হাজার ৩ শ ৩৪ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষনের আওতায় রাখা হয়েছে। জেলায় ৮৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। তার মধ্যে কোয়ারেটিন শেষ হওয়ায় বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৫জন ।
সিভিল সার্জন ডা: সেলিম মিঞা জানান, জেলায় সরকারী ৪ টি চিকিৎসা কেন্দ্রে ২১৪টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসা সেবায় যাতে কোন ঘাটতি না থাকে সে জন্য ১৪ জন ডাক্তার ও ১৪ জন নার্সকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে করোনা সনাক্তদের চিকিৎসা করছেন।
জেলায় এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার ২ শ ৭৩ টি এবং বর্তমানে মজুদ রয়েছে ২ হাজার ৬শ ৭১ টি। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জরুরী ভিত্তিতে গোপিনাথপুর হেলথ এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করার জন্য ২টি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা হিসাবে চিকিৎসক ও সেবিকাদের জন্য ২টি গাড়ি ও করোনা সন্দেহজনক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ২টি মাইক্রোবাস দেয়া হয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
বাসস/সংবাদদাতা/কেসি/১৯৪৯/এবিএইচ