বোরো ধান কাটায় সহায়তা প্রদানে কৃষি যন্ত্র ঋণ চালু করলো জনতা ব্যাংক

369

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে সহায়তা দিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক কৃষি যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার,রিপার ও রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল বুধবার জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে ঋণ’ নামে এই ঋণ সেবা চালুর অনুমোদন দেয়া হয়। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যয় যেমন হ্রাস পাবে তেমনি কৃষি শ্রমিকের সংকট কাটিয়ে সময়মত বোরো ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলে ব্যাংকটি আশা করছে।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বাসসকে বলেন,‘করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দেওয়ায় সময়মত বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে সঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ধান সময়মত ঘরে তোলা সম্ভব। এই উপলব্ধি থেকে আমরা কৃষি যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার,রিপার ও রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ক্রয়ে ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত কৃষক অথবা কৃষি যন্ত্র সরবরাহকারী কিংবা একাধিক কৃষক একত্রিত হয়ে সমন্বিতভাবে কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে এই ঋণ নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কৃষকদের ধান কাটায় সহায়তা দিতে কম্বাইন হারভেস্টার,রিপার ও রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব যন্ত্রের মোট মূল্যের ৬০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি প্রদান করছে এবং বাকী ৪০ শতাংশ কৃষককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই ৪০ শতাংশ টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে কৃষক যেন কোন সমস্যায় না পড়ে সেজন্য জনতা ব্যাংক এই ঋণ কর্মসূচি চালু করেছে।
জনতা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. জিকরুল হক বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বোরো মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকট তৈরি হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই ঘরবন্দি থাকায় এবার এই সংকট তীব্র হয়েছে। তাই এখন আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়া বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে কৃষকরা ঋণ পেলে বোরো ধান সময়মত ঘরে তুলতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
এর পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন,দেশের বেশিরভাগ এলাকায় কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়। তাই দেশের সব অঞ্চলের কৃষকরা এই ঋণ কর্মসূচির আওতায় থাকবে এবং কিস্তিতে কৃষকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।