পিরোজপুরে চাষিদের জন্য আবারও প্রণোদনা সহায়তা

234

পিরোজপুর, ৩০ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : জেলার আউশ ধান চাষে চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবারও প্রণোদনা সহায়তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট ৮ হাজার আউশ চাষির মধ্যে ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।
চলতি আউশ মৌসুমে সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে পিরোজপুরের আউশ চাষিদের জন্য ইতোপূর্বে ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ করলেও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চলতি সপ্তাহে আরো ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে।
জেলার ৭ উপজেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার ৮ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক আউশ চাষি এই প্রণোদনা সহায়তা পাবেন। উফশী চাষে প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা হবে ৮ হাজার চাষিকে। ৮ হাজার বিঘা আউশের জমি চাষের জন্য প্রত্যেক চাষিকে প্রতি বিঘার জন্য উফশী ধানের বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ২০ কেজি এবং এমওপি সার ১০ কেজি। এজন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর বাসসকে জানান, চাষিদের সার-বীজ বিনামূল্যে প্রদানের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হবে। কৃষি বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বীজতলা তৈরী থেকে পাকা ধান কর্তন পর্যন্ত চাষিদের পরামর্শ প্রদানের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৮০, ইন্দুরকানীতে ৯৬০, কাউখালীতে ১ হাজার ১২০, নেছারাবাদে ১ হাজার ৩৬০, নাজিরপুরে ৮০০, ভান্ডারিয়ায় ১ হাজার ৪০ এবং মঠবাড়িয়ায় ১ হাজার ৪৪০ জন চাষিকে এ প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হবে। প্রণোদনার ১ম বরাদ্দের টাকা চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় বরাদ্দের টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা গ্রামের আউশ চাষি বাবু লাল চন্দ জানান, মূলত: উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় অন্যদিকে ধান চালের মূল্য কম থাকায় চাষিদের ধান চাষে উৎসাহ কমে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রণোদনা সহায়তা চাষিদের চাষাবাদে উৎসাহিত করবে এবং চলতি আউশ মৌসুমে বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চাল উৎপাদনে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে।