বাসায় থেকে অভিষেক সিরিজের ওজনে পৌঁছেছেন গাভাস্কার

172

নয়া দিল্লি, ২৯ এপ্রিল ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসের কারনে পুরো ভারতজুড়েই লকডাউন চলছে। তাই সকলেই গৃহবন্দি। এই অবস্থায় নিজের মত করে সময় পার করছেন সকলে। বাসায় থেকে নিয়ম মানায় ওজন কমেছে ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারের।
ভারতের গনমাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের জীবন নিয়ে কথা বলেন গাভাস্কার। তিনি জানান, বাসায় থাকায় তার ওজন কমেছে।
ক্যারিয়ারের অভিষেক সিরিজের ওজনে ফিরে গেছেন গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘অবাক হবার বিষয় হয়েছে। তা’হলো- ১৯৭১ সালের মার্চে আমার অভিষেক সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে ওজন ছিল সেটি এখন ফিরে পেয়েছি। সামান্য বেশি আছে। অভিষেক সিরিজের চেয়ে এখন মাত্র ০ দশমিক ০৩ কেজি বেশি ওজন আছে আমার।’
লকডাউনের বাসায় থাকায় নিয়ম মেনে জীবন যাপন করছেন গাভাস্কার। এতেই ওজন কমেছে বলে ধারনা গাভাস্কারের। তিনি বলেন, ‘বাসায় থেকে আমার জীবন ধারা পাল্টে গেছে। খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এসেছে। সন্ধ্যায় টিভি সিরিয়াল বা অন্য কিছু দেখছি। রাতের খাবার আগেভাগেই শেষ করছি। সবকিছু নিয়ম মানায়, পরিবর্তন হয়েছে।’
লকডাউনে বাসায় থাকায় সময়টা ভালোই যাচ্ছে বলে জানান গাভাস্কার, ‘টানা বাড়িতে থেকে ভালোই লাগছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন পর কোন কাজের চাপ ছাড়া এত বেশি সময় পার করছি।’
তবে পরিবারের সবাই গাভাস্কারের সাথে নেই। কাজের জন্য বা ব্যক্তিগত কারনে অন্য শহরে অনেকেই আটকা পড়েছে। পরিবারের সকলে কাছে থাকলে ভালো লাগতো গাভাস্কারের, ‘পরিবারের সবাই আমার সাথে থাকলে বেশি ভালো লাগত। এতে কোন সমস্যা নেই। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। যে যেখানে আছে, ভালো থাকুক।’
করোনাভাইরাসের জন্য সরকারের তহবিলে ৫৯ লাখ রুপি দান করেছেন গাভাস্কার। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া আসরে নিজের সেঞ্চুরি সংখ্যার সমান ৫৯ লাখ রুপি দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সরকারকে আরও সহায়তা করতে রাজি গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের হয়ে ৩৫টি সেঞ্চুরি করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৩৫ লাখ। আর মুম্বাইয়ের হয়ে ২৪ সেঞ্চুরি করেছি। তাই মহারাষ্ট্রের তহবিলে ২৪ লাখ দিয়েছি। কিন্তু এই অর্থে অসহায়দের সহায়তা করা সম্ভব নয়। সরকার চাইলে, আমি আরও সহয়তা করতে রাজি। অর্থের সাথে অন্য ভাবেও সহায়তা করতে আমি প্রস্তুত।’