সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ট্রাক বোমা হামলায় ৪০ জনেরও বেশি নিহত

185

বৈরুত, ২৯ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি বাজারে জ্বালানিবাহী একটি ট্রাক বোমা হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী যোদ্ধাও রয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ হামলাকে কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে বলেছে, রমজানের ইফতারির প্রস্তুতির জন্যে লোকজনের কেনাকাটার সময়ে মঙ্গলবার আফরিন শহরের একটি বাজারে এ হামলা চালানো হয়।
সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের উদ্ধারকর্মীদের প্রকাশিত ছবিতে অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যদের আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
ব্রিটেন ভিত্তিক অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর প্রধান রামি আবদুল রহমান জানান, হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জন। অনেকের অবস্থা আশংকাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তিনি আরো জানান, তুরস্কপন্থী অন্তত ছয় সিরীয় যোদ্ধা এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর ওয়েবসাইটে হামলায় ১১ শিশুর প্রাণহানির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে হামলার পেছনে কারা রয়েছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
তুর্কি সৈন্য ও তার মিত্র বিদ্রোহীরা ২০১৮ সালের মার্চ মাসে দুই মাস স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে কুর্দি বাহিনীর কাছ থেকে এ অঞ্চল দখল করে। এরপর এটিই সবচেয়ে বড়ো ধরণের হামলার ঘটনা।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ হামলার জন্যে কুর্দিস পিপল’স প্রটেকশান ইউনিটকে(ওয়াইপিজি) দায়ী করেছে। ওয়াইপিজি নিষিদ্ধঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পাটি’র(পিকেকে) সন্ত্রাসী শাখা হিসেবে বিবেচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মর্গান ওর্টাগুস বলেছেন, এ ধরণের কাপুরুষোচিত হামলা অগ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, পিকেকে তুরস্কে গত তিন দশক ধরে রক্তাক্ত বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।
এদিকে সিরিয়ায় গত ২০১১ সাল থেকে চলা সহিংসতায় ৩৮০,০০০ বেশি লোক নিহত হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে দেশটির যুদ্ধপূর্বকালীন জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।