মুক্তি পেয়েই মা’কে চুমু খাবো : রোনালদিনহো

198

প্যারাগুয়ে, ২৮ এপ্রিল ২০২০ (বাসস) : একটি দাতব্য সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত মার্চে প্যারাগুয়ে গিয়ে ৩২দিন জেল খাঁটতে হয়েছে ব্রাজিলের ফুটবল তারকা রোনালদিনহোকে। জেল খাঁটার কারণ তার পাসপোর্টটি ছিল জাল। পরবর্তীতে জেল থেকে মুক্তি মিললেও, প্যারাগুয়ের একটি হোটেলে বর্তমানে বন্দি আছেন রোনালদিনহো।
জেলের পর হোটেলে বন্দি হবার আগ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে কোন কথা বলেননি রোনালদিনহো। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। প্যারাগুইয়ান টেলিভিশন নেকওয়ার্ক এবিসি কালারে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ২০০২ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করা এই তারকা।
রোনালদিনহো বলেন, ‘আমরা খুবই অবাক হয়েছিলাম, যখন শুনলাম কাগজপত্র বৈধ নয়। সবই অবৈধ। এ সব কাগজপত্র ঐ সংস্থাটিই আমাকে দিয়েছিলো। অবশ্য এ সব ঘটনা আমি আগেই বলেছি। ওই সময় থেকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত আমাকে যা জিজ্ঞাসা করেছে, আমি সবই বলেছি। আমি ও আমার আইনজীবি কাজগুলো সহজ করার চেষ্টা করছি।’
কিন্তু প্যারাগুয়ে আদালত রোনালদিনহোকে জেলে পাঠায়। সেখানে এক মাসের বেশি সময় কাটান তিনি। জেলে যাওয়াকে বড় ধাক্কা বলে অ্যাখায়িত করেন রোনালদিনহো। তিনি বলেন, ‘জেলে যাওয়াটা ছিলো বিশাল এক ধাক্কা। আমি কখনও ভাবিনি এ্ই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাকে হতে হবে। আমি আমার জীবনে ঝামেলামুক্ত থাকতে চেয়েছি। পুরো জীবন আনন্দে কাটাতে চেয়েছি এবং তা করেছিও। ফুটবল ছিলো আমার আনন্দের সর্বোচ্চ জায়গা। পেশাদারী ক্ষেত্রে সেরাটাই দিয়েছি এবং আমার খেলা দিয়ে সবাইকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ফুটবল ছেড়েও আনন্দ নিয়ে দিন কাটিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ, এক ঝড় সবকিছুই ওলট-পালট করে দিলো।’
কারাগারের ভেতর অন্যান্য কয়েদির কাছ থেকে ভালো ব্যবহারই পেয়েছেন বলে জানান ২০০২ সালে ব্যালন ডি’অর বিজয়ী রোনালদিনহো, ‘কারাগারে যার সাথেই দেখা হয়েছে, সকলেই ভালো ব্যবহার করেছে এবং আমার সাথে কথা বলেছে। আমাকে সহযোগিতাও দিয়েছে।’
তবে দ্রুতই সকল সমস্যা মিটে যাবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন রোনালদিনহো, ‘আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই প্যারাগুয়ের বিচার ব্যবস্থা সবকিছু বিবেচনা করে আমাকে দ্রুতই মুক্তি দিবে।’
মুক্তি পাবার পর কি করবেন সেটিও বললেন রোনালদিনহো। তিনি জানান, ‘প্রথম যে কাজটি করব, তা হলো- আমার মাকে চুমু খাবো। করোনাভাইরাসের কারনে বাড়িতে কঠিন সময় পার করছেন তিনি।’
আদালতের রায়ে ছয় মাসের জেল দেয়া হয়েছিলো রোনালদিনহোকে। তবে পুরোপুরি ছয় মাস জেলে থাকতে হয়নি তাকে। এ মাসের প্রথম দিকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন নেন রোনালদিনহো।