বাসস দেশ-১৫ : পান-সুপারির গোডাউনে মিললো আদার মজুদ

283

বাসস দেশ-১৫
চট্টগ্রাম – আদা
পান-সুপারির গোডাউনে মিললো আদার মজুদ
চট্টগ্রাম, ২৭ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : প্রায় তিন গুণ মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া আদার মজুদ খুঁজতে গিয়ে অবশেষে আজ পাওয়া গেলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পান-সুপারির গোডাউনে। অভিযান চালিয়ে ৮৮ বস্তায় লুকিয়ে রাখা ১২ টন আদা উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটে টানা কয়েক ঘণ্টার অভিযানের শুরুতেই বশির মার্কেটে শাহ আমানত ট্রেডার্সে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। আড়তের মালিকের কাছে আদা বিক্রির কাগজ দেখতে চাইলে ওই আড়তে আদা বিক্রি হয় না বলে দাবি করেন মালিক তৈয়ব আলী। তবে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পাশের দোকানি শুক্কুর আলীর পান-সুপারির গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৮৮ বস্তায় ভরে রাখা প্রায় ১২ টন আদার সন্ধান পান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় শাহ আমানত ট্রেডার্সের আদা আমদানির কাগজ দেখে জানা যায় মিয়ানমার থেকে কেজি প্রতি ৮৪ টাকায় কেনা এসব আদা ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কেজি প্রতি ১২০ টাকায় এসব আদা পাইকারদের কাছে বিক্রির নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শাহ আমানত ট্রেডার্সের পর খাতুনগঞ্জের একতা ট্রেডার্স, শাহাদাত ট্রেডার্স এবং মাহবুব খান সাওদাগরের আড়তে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এখানেও ৮০-৯০ টাকায় কেজি প্রতি আদা কিনে ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ মেলে। এ সময় একতা ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার, শাহাদাত ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার এবং মাহবুব খান সাওদাগরকে ১ লাখ টাকা অর্থদ- করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামে ৩২ জন আমদানিকারক আড়তদার এবং ব্রোকারদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় কেনা আদা ২৫০ টাকা পর্যন্ত পাইকারিতে বিক্রি করছেন, যা কোনোভাবেই ১২০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
বাসস/কেএস/কেসি/১৯০০/স্বব