প্যারিস, ২৭ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : ডিসেম্বরে চীনে মহামারি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার গ্রীনিচ মান সময় ১৯০০ টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি একথা জানায়।
বিশ্বের ১৯৩ টি দেশ ও ভ‚খন্ডে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০ জন করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য থেকে এএফপি’র সংগ্রহ করা উপাত্ত ব্যবহার করে তৈরি করা এ পরিসংখ্যান করোনা ভাইরাসের প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যার কেবলমাত্র একটি আংশিক প্রতিফলন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেননা, বিশ্বের অনেক দেশ কেবলমাত্র গুরুতর আক্রান্ত লোকদেরই করোনা পরীক্ষা করছে।
বিশ্বে কোভিড-১৯ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ হাজার ১৭৫ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির মৃতের ও আক্রান্তের এ সংখ্যা বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে থাকা ইতালিতে এ ভাইরাসে ২৬ হাজার ৬৪৪ জন মারা গেছে এবং ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এরপরের অবস্থানে থাকা স্পেনে করোনা ভাইরাসে ২৩ হাজার ১৯০ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ২ লাখ ৭ হাজার ৬৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসে ২২ হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে ২০ হাজার ৭৩২ জন মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ জন।
হংকং ও ম্যাকাউ বাদে চীনে ৪ হাজার ৬৩২ জনের মৃত্যু এবং ৮২ হাজার ৮২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোতে মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ৯১ জন মারা গেছে এবং ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় একত্রে ৫৬ হাজার ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ লাখ ২ হাজার ৯৩২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোতে ৭ হাজার ৯৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এশিয়ায় ৭ হাজার ৯৯৩ জন মারা গেছে এবং ২ লাখ ১ হাজার ৬০৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মোট ৬ হাজার ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ১০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আফ্রিকায় মোট ১ হাজার ৪১২ জন মারা গেছে এবং ৩১ হাজার ৫১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। ওশেনিয়ায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৮ হাজার ১৩ জন আক্রান্ত।