বাসস দেশ-১৩ : মাথার চুল বিক্রির গুজব ছড়ানোয় দুই ছাত্রদল নেতাসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

139

বাসস দেশ-১৩
চুল-বিক্রি-গুজব
মাথার চুল বিক্রির গুজব ছড়ানোয় দুই ছাত্রদল নেতাসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের
সাভার, ২৪ এপ্রিল ২০২০ (বাসস): সাভারে মাথার চুল বিক্রি করে সন্তানের খাদ্য কেনা সংক্রান্ত মিথ্যা গুজব ছড়ানোর ঘটনায় দুই ছাত্রদল নেতাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানার পৌর এলাকার বাসিন্দা রাজিম ভূইয়া মিশু নামে এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তাা আইনে ৩ জনকে আসামীকরে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো- মাদক ব্যবসায়ী ছাত্রদল নেতা রাজিব মাহমুদ (৩২), স্থানীয় একটি পাক্ষিক পত্রিকার সম্পাদক ওমর ফারুক (৪০) ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ওবায়দুর রহমান অভি (৫০)।
মামলা এজাহার থেকে জানা যায়, সাথী নামের ওই নারী মাথায় খুশকি ও চুলকানি জনিত কারণে দেড় মাস আগে চুল কেটে ফেলেন। পরে মঙ্গলবার (২১এপ্রিল) রাতে রাজিব মাহমুদ একটি ফেসবুক গ্রুপে ওই নারীর চুলের ছবিসহ একটি পোষ্ট করেন। এরপর ওমর ফারুক ওই পোষ্ট শেয়ার দেন ।এভাবে ঘটনাটি সাভারে ‘খাবারের অভাবে চুল বিক্রি’ বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদনন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, চুল বিক্রির ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার সাভারে সন্তানের দুধের জন্য নিজের মাথার চুল বিক্রি’র ঘটনাকে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানের স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ধরনের সংবাদ প্রচারের পরপরই উপজেলা প্রশাসন নিজেদের মত তদন্ত শুরু করলে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ আলাপকালে সাথী নামের ওই নারী জানান, প্রায় দেড় মাস পূর্বে তিনি সাভারে আসেন এবং তখনই তিনি তার মাথার চুল কাটেন। করোনা ভাইরাসের কারনে সন্তানের দুধ কেনার জন্য তিনি মাথার চুল কেটে বিক্রি করেন নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো ও বানোয়াট। এ ধরনের ঘটনা ছড়ানোয় যারা জড়িত তাদের আাইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ ধরনের সংবাদ প্রচার না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে, ঢাকা জেলার এডিসি মাহমুদুল হকসহ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলোচিত ওই নারী এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলেন।
বাসস/সংবাদদাতা/বিকেডি/১৮৫৭/স্বব